• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দাঁড়ানো মূর্তিমান আতঙ্ক!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২১  

টাঙ্গাইলের সখীপুর-গোড়াই-সাগরদিঘী আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে যেন মূর্তিমান আতঙ্ক। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার করছে এলাকাবাসী। সড়কটির দুই পাশজুড়ে পুরোনো আকাশমণি, শিশু, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। অজ্ঞাত রোগে মরে যাচ্ছে। মড়ক ধরা এসব গাছের ডালপালা পরে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, আশঙ্কা স্থানীয়দের। সড়কটি দিয়ে এখন অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। অথচ তেমন কোন সর্তকতা নেই।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুইপাশে সবুজের সমারোহ অনেকটাই কমে গেছে। মরা ডালপালা না কাটার ফলে নতুন গাছগুলোতেও মড়ক দেখা দিচ্ছে। এলাকার কয়েকটি স্থানে মরা গাছগুলো ঘেঁষেইে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মরা গাছগুলো যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে এমন আতঙ্কের মধ্যেই স্থানীয়রা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর গাছগুলো কাটার কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক, বর্তমানে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, ‘সড়কের পাশের গাছগুলো পরিবেশ মনোরম করার পাশাপাশি অক্সিজেন সরবরাহ করে। তবে বিষাক্ত ধোঁয়া, মাটির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত পানি শোষণ করতে না পারাসহ বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে সড়কের পাশে লাগানো গাছ মরে যেতে পারে। মরে যাওয়া গাছগুলো চারপাশের সৌন্দর্য বিনষ্ট করছে, ছড়াচ্ছে ক্ষতিকর ভাইরাস। ধ্বংস করছে জীববৈচিত্র্য। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য মরে যাওয়া গাছগুলো কেটে নতুন গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তা না হলে আরও গাছ আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।

তিনি জানান, সম্ভবত গাছগুলো ডাইব্যাক নামের ছত্রাকে আক্রান্ত  হয়েছে। এই ছত্রাকের কারণে গাছের গোড়া পর্যন্ত পঁচে যায়। এতে গাছ উপড়ে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিত্রা শিকারীর কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন, এলজিইডি অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরসহ সামাজিক বনায়নের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আমরা বৃক্ষরোপণ অব্যাহত রাখব।’