• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

প্রতারণার অভিযোগ আটক ২৮

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২০  

চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে ঢাকা, সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৮ প্রতারককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪। 

রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

 অভিযানকালে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৫০ জন ভুক্তভোগীকে।

 সোমবার র‌্যাব-৪ এর এএসপি (মিডিয়া) জিয়াউর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, সম্প্রতি চাকরির নামে নতুন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারকচক্র লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানী এবং সাভারে অভিযান চালিয়ে ২৮ প্রতারককে আটক করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এরা জানিয়েছে, রাজধানীসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে বিভিন্ন নামে-বেনামে ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠান খুলে। এরপর দালালদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশিক্ষিত বেকার ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল যুবক-যুবতীদের আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিচ্ছিল।


র‌্যাব জানায়, প্রথমে র‌্যাব-৪-এর একটি দল শাহ আলী থানাধীন মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সে ‘প্রসেস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৬ প্রতারক মোসলেহ উদ্দিন, ফজলুল ইসলাম, আবদুল মান্নান, রেজওয়ান মাহমুদ রনি, রাজু চন্দ্র শর্মা ও সাখাওয়াত হোসেন সজিবকে আটক করে। 

এ সময় ৬৫টি বায়োডাটা ফরম, ৩টি সিল, ১টি ব্যানার, ৪টি ডায়েরি জব্দ করা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ জন ভোক্তভোগীকে। অপর এক অভিযানে কাফরুল থানাধীন সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ‘অইস্টার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ প্রতারক আল-রাব্বি হাসান ওরফে পরিতোষ আওয়াল, নুর কালাম, হাসিবুর রহমান, ফয়েজ, মামুন মিয়াকে আটক করা হয়। ওই অফিস থেকে ২টি ভর্তির আবেদন বই, ২টি অঙ্গীকারনামা বই, ৪টি স্ট্যাম্প সিল, ১টি ব্যানার, ৭টি আইডি কার্ড, ৩টি টাকা জমার রসিদ বই, ১টি টাকার খতিয়ান বই, ৮ হাজার ৩৯৬ টাকা জব্দ করা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ১৬ জন ভুক্তভোগীকে।

অপর একটি অভিযানে ভাটারার প্রগতি সরণির নর্দা এলাকায় ‘এমিকন সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দুই প্রতারক গোলাম মাস্তফা ও তোফাজ্জল হোসেনকে আটক করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ২২টি চাকরির বিজ্ঞাপন, ১৮টি ব্যাংকে টাকা জমার রসিদ, ৭টি রেজিস্ট্রার, ৬৫টি জীবনবৃত্তান্ত ফরম, ৫০টি লিফলেট, ৭১টি বিজ্ঞাপন, ৮টি সিল জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৯ ভুক্তভোগীকে।

এছাড়া আশুলিয়া থানার টংগাবাড়ি এলাকার ‘জিম সিকিউরিটি লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৪ প্রতারককে আটক করা হয়। এরা হল সোহেল রানা, ইমরান, রাব্বি মাহমুদ, ইব্রাহিম শেখ, চয়ন বাড়ই, ফাহাদ, হাবিব, রাসেল, বাদল আহমেদ, তাওসিফ, ইমরুল কায়েস, মোস্তাফিম মজরিনা ওরফে হ্যাপি, হালিমা আক্তার ও জহুরা আক্তার বীথি। তাদের কাছ থেকে ৪০টি নিয়োগ বিজ্ঞাপন ফরম, ৩টি ভর্তি ফরম, ৭টি হলফনামা, ১০টি আইডি কার্ড, ৭টি যোগদানপত্র জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় ১৫ জন ভুক্তভোগীকে।

 অন্যদিকে সাভার থানার কালমা এলাকা থেকে আয়কর অফিসে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে ভুয়া চাকরিদাতা গিয়াস সরদারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তার কাছ থেকে ২টি ভুয়া নিয়োগপত্র জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৬ জন ভুক্তভোগীকে।