• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সবজি চাষে এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২০  

ঢাকাসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে মানিকগঞ্জের উৎপাদিত সবজির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এতে করে প্রতি বছর জেলায় সবজির আবাদ ও চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে  নারীরাও সমানতালে ক্ষেতে কাজ করছেন। সবজির উৎপাদন বাড়াতে আর শ্রমিক খরচ বাঁচাতে প্রতিদিনই কাজ করছেন তারা।


সাটুরিয়া উপজেলার জান্না এলাকার শাহনাজ খাতুন বলেন, ‘চলতি বছর করোনা আর বন্যায় সবজি চাষে বেশ ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেতে সবজির আবাদ শুরু করেছি। মূলধন কম থাকায় শ্রমিকের খরচ বাঁচাতে স্বামীর সঙ্গে ক্ষেতে কাজ করছি।’

একই এলাকার বিলকিস আক্তার বলেন, ‘বিভিন্ন সবজির ক্ষেতের  বীজ সংরক্ষণ,বীজতলা তৈরি, নিরানী,পানি দেওয়া, সবজি তোলাসহ ক্ষেতের সব কাজেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কাজ করি। এতে সংসারের আয় রোজগার বাড়ে।’

 

রহিমা খাতুন বলেন, ‘সংসারের কাজ সামলিয়ে বাড়তি সময়টুকু সবজি আবাদে দিচ্ছি। এবার সবজির ফলন ভাল হয়েছে। বাজারমূল্য ভাল থাকলে লাভবান হবো।’ 

জান্না উত্তরপাড়া গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘২৫ বিঘা জমিতে বেগুন, ফুলকপি, মরিচ, করলা, লাউ ও শিমের আবাদ করেছি। এসব ক্ষেতে কাজ করা শ্রমিকদের প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশো টাকা মজুরি দিতে হয়। পরিবারের নারী সদস্যরা ক্ষেতে কাজ করায় শ্রমিক কম লাগে।’

জাতীয় মহিলা সংস্থা মানিকগঞ্জ জেলা শাখার চেয়ারম্যান লক্ষী চ্যাটার্জী জানান, চাষাবাদের বিভিন্ন কাজে আগে থেকেই নারীরা অংশগ্রহণ করতেন। নানা কুসংস্কারের কারণে ক্ষেতে কাজ করতেন না। তবে দিন দিন সমাজে নারীর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা দূর হওয়ায় নারীরা চাষাবাদে ক্ষেতেও কাজ করছেন। এতে পরিবারে সঞ্চয় বাড়ছে।


 
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান আলী বিশ্বাস জানান, মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ,সভা, মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে ৩০ ভাগ নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করা হয়। এতে করে নারীরা দিন দিন উপযুক্ত পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে চাষাবাদে অবদান রাখছেন। চলতি বছর ৮ হাজার পাঁচশো হেক্টর সবজির আবাদের লক্ষ‌্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭ হাজার আটশো হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে বলেও জানান তিনি।