• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

২০ টাকার যৌনতা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২০  

যৌনতা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। যৌনতা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না, বিজ্ঞান অন্তত তাই বলে। পৃথিবীর প্রাচীন পেশাগুলোর মধ্যেও অন্যতম এটি। সেই প্রাচীন কাল থেকে যুগে যুগে সকল সমাজেই যৌন কর্মী ছিল। একেক সমাজে যৌন কর্মীদের অবস্থা একেক রকম।

পাশ্চাত্য সমাজের অনেক যৌন কর্মীর আয় তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও অনেক বেশি। আমাদের দেশে বেশিরভাগ যৌন কর্মীই উপেক্ষিত, নিগৃহীত ও অধিকার বঞ্চিত। এখানে যৌনকর্মী মানেই পতিতা। রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক ভাবেও এটা স্বীকৃত না। অবশ্য এখানেও উচু দরের যৌন কর্মী রয়েছে। কিন্তু আজকের গল্প একটু ভিন্ন ধরণের।

রাজধানী ঢাকা অনেক দিক দিয়েই বিস্ময়কর। এখানে বিস্ময়ের যেন শেষ নেই। যে কাউকে চমকে দিতে পারে এই শহর। রাজধানী ঢাকা দিনের আলোতে এক রকম। আর রাতের নিয়ন আলোতে এই শহর যেন চির যৌবনা। এখানে সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে কেউ ফিরে ঘরে। আর কেউ থাকে রাত্রির অপেক্ষায়। এখানেও আসে নিঝুম নিশীথ। অনেক জায়গায় থাকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর এই অন্ধকারেই কেউ কেউ বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকে শুধু প্রাণের মায়ায় কিংবা নিঃশ্বাস এখনো আছে তাই।

জিয়া উদ্যান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, ফার্মগেট, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এই নিশি কন্যাদের বাস। আর এখানেই ২০ টাকায় মিলে যৌনতা। মিলে যৌন সুখ। এই শহরের অলিতে-গলিতে এই রকম শত শত জায়গা রয়েছে। আর এই সকল হাটে যৌনতা ফেরি করে নিশি কন্যারা। বিলি করে যৌন সুখ। আর বিনিময়! তা দর কষাকষি করেই হয়।

তবে এই সকল স্পটের বেশ কয়েকজন যৌন কর্মী জানায়, অনেক সময় ২০ টাকায়ও কাজ করেন তারা। সব সময় যে নিরুপায় হয়ে অল্প বিনিময়ে কাজ করেন, তাও নয়। এখানে আসা খদ্দেরদের এর চেয়ে বেশী সামর্থ্য থাকে না। আর তাই অনেক সময় ২০ টাকায় যৌনতা ফেরি করে তারা। এই সমস্ত যৌন কর্মীদের প্রায় সকলেই ভাসমান। তাদের কোন সামাজিক পরিচয় নেই। সেইসাথে নেই কোন আশ্রয়। ইট পাথরের এই ঢাকায় মাথা গোঁজার মতো কোন জায়গা নেই তাদের।

রমনা পার্কের কাছেই কথা হয় রেশমা নামের একজনের সাথে। শুরুতে কথা বলতে না চাইলেও, পরে জানায়, এভাবেই চলছে তার। অনেক সময় কোন খদ্দেরই থাকে না। আর তখন না খেয়ে থাকতে হয়। এর বেশী আর বলল না। দৌড় দিয়ে চলে গেল। তখন মাথায় শুধু একটা পঙ্কিই আসে,ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।