• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

যৌন হয়রানির বিচার দাবিতে শ্রমিকদের অনশন অব্যাহত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৯  

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিককে যৌন হয়রানির বিচার ও ছাটাইকৃতদের পুনর্বহালের দাবিতে বাপাইলে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দ্বিতীয়বারের মতো অনশন করছেন ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকরা।

এ ঘটনায় প্রশাসনের আশ্বাসে গত সপ্তাহে কারখানার সামনের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও বিচার না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আমরণ অনশনে বসেছেন তারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়ার প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন ভুক্তভোগী এই নারী শ্রমিকরা।

আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শ্রমিকরা জানান, ১৮ মার্চ আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় অবস্থিত ডং লিয়ন ফ্যাশন বিডি লিঃ কারখানার সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক (এপিএম) জহিরুল এক নারী শ্রমিককে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনায় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা ওই কর্মকর্তার বিচার দাবি করলে গত ৯ এপ্রিল একযোগে ১৭ জন শ্রমিককে ছাটাই করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো ও প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়া হয়।

অনশনরত ছাটাইকৃত শ্রমিক তানিয়া আক্তার বলেন, আমাদের এক সহকর্মীকে কারখানার সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক (এপিএম) জহিরুল যৌন হয়রানি করায় আমরা তার বিচার দাবি করায় আমাদের অন্যায়ভাবে ছাটাই করেছে। নারী লোভী ওই কর্মকর্তার প্রাক্তন দুটি কর্মস্থলেও একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কারখানা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপ না করে অন্যায়ভাবে ভুক্তভোগী নারীসহ ১৭ জন পোশাক শ্রমিককে ছাটাই করেছে।

শ্রমিকরা অরো জানান, কারখানার এডমিন ম্যানেজার রফিক বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দিয়ে সাধারণ শ্রমিকসহ আমাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে এবং আমাদের আরেক সহকর্মীকে অভিযুক্ত এপিএম জহিরুল, লাইন চিফ কবির, সুপাভাইজার রঞ্জু ও অফিস সহকারী নীরব আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় জোড়পূর্বক একটি খালি বাড়িতে নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এবিষয়ে আশুলিয়া থানায় গত ২৩ মার্চ একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

তবে এসব অভিযোগ অকপটে অস্বীকার করেন কারখানার এডমিন ম্যানেজার রফিক।

অভিযুক্ত সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক (এপিএম) জহিরুল বলেন, ঘটনাটি সাজানো ও বানোয়াট। কারখানার টয়লেটের রাস্তাটা একটু সরু হওয়ায় যাবার পথে অসাবধানতাবশত আমার হাতের কুনুই এক নারী শ্রমিকের শরীরে লেগে যায়। আমি এসব কিছু ইচ্ছে করে করিনি। অন্য কারো ইন্ধনে শ্রমিকরা বিষয়টি নিয়ে দিনের পর দিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।