• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ শিবালয়বাসী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৯  

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে গ্রীষ্মের তীব্র দাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে জনজীবন। কাজকর্মে দেখা দিয়েছে ভাটা। লোডশেডিং, বিদ্যুতের মেইন লাইন, ট্রান্সমিটার ও উত্পাদন কেন্দ্রের সমস্যাসহ নানা অজুহাতে পল্লী বিদ্যুৎ প্রতিনিয়তই  বিদ্যুত্হীন অবস্থায় রাখছে শিবালয়বাসীকে। এরকম পরিস্থিতির জন্য পল্লী বিদ্যুতের অদক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।                       

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শিবালয় অঞ্চলের সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ, চলতি মাসের শুরু থেকে প্রত্যহ দফায়-দফায় আট থেকে ১০ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। চলতি রমজান মাসে এর পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

 এদিকে উপজেলা জুড়ে ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তীব্র রোদ ও ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত হচ্ছেন কৃষকরা। শিক্ষার্থীরা মোমবাতি ও বিকল্প আলোতে লেখাপড়া করলেও শরীরের ঘামে বই-খাতার পাতা ভিজছে। রমজানে মুসল্লিদের জামাতে নামাজ পড়া, সেহরি, ইফতার করতে এবং গৃহিণীদের রান্না-বান্না ও গৃহস্থালির কাজে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কল-কারখানায় উত্পাদন ও হাটবাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যও প্রায় থমকে গেছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

আরিচা মসজিদ মার্কেটে ব্যবসায়ী আকতার, মনির ও আলীম জানান, রমজান মাসে বিদ্যুতের এরকম ভেলকিবাজি কখনো দেখিনি। মাঝে মধ্যে এমন হয় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১৬ থেকে ২০ বার বিদ্যুত্ যাওয়া আসা করে।

শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, সরকার দেশব্যাপী বিদ্যুৎ  লাইন যেভাবে সম্প্রসারিত করেছে, তেমনিভাবে বিদ্যুত উত্পাদনও করছে। দেশে বিদ্যুতের কোন কমতি নেই। পল্লী বিদ্যুতে এখানে যারা কর্মরত আছে তাদের গাফিলতির কারণেই এরকম হচ্ছে। অন্যান্য জায়গায় বিদ্যুত্ পাওয়া যাচ্ছে অথচ শিবালয়বাসী বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না কেন ?

পল্লী বিদ্যুতের শিবালয় অফিসে কর্মরত লাইন টেকনিশিয়ান আব্দুল মান্নান এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, এ অঞ্চলে বিদ্যুতের মেইন লাইনে প্রায়ই কাজ করতে হচ্ছে। অনেক সময় লাইন ও ট্রান্সমিটারে সমস্যা হচ্ছে। এগুলো মেরামতের জন্য সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে বেশ সময় ব্যয়  হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের বিষয়ে তিনি আরোও বালেন, জেলা শহরের তুলনায় উপজেলা পর্যায়ে লোডশেডিং একটু বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক।