• রোববার ০১ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৬ ১৪৩০

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো তিন ছাত্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০১৯  

মানিকগঞ্জে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায়  কনের বাবা ও বরের বাবাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষায় পেয়েছে তিন ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার ও  শুক্রবার (৬,৭ জুন) স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে বন্ধ হয়।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জেলার হরিরামপুর উপজেলায় দু’জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দু’টি বিয়েই হচ্ছিল উপজেলা কালই গ্রামে। ওই গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী শুভা আক্তারের (১৩) সঙ্গে একই উপজেলার মালুচি গ্রামের নূর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানের বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিয়াস মেহেদী ওই বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে হরিরামপুরের কালই গ্রামের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আশা আক্তারের  (১৭) সঙ্গে উপজেলার ধূসরিয়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ কনের বাড়ি থেকে উভয় পক্ষের লোকজনকে আটক করে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের হাজির করা হয়। সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও ইলিয়াস মেহেদী কনের বাবাকে (আবু হানিফ) এবং বর দেলোয়ারের বাবাকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন।

ইউএনও ইলিয়াস মেহেদী বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর (কনে) বাড়িতে বরপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কনের বাবাকে (ইউনুস আলী) তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া জেলা সদরের গিলন্ড গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর (রিতা আক্তার) বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ছিল ওই ছাত্রীর বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ওই ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। শুক্রবার ওই ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন সরকার বলেন, স্থানীয় নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাকিব হোসেনকে ওই বাড়িতে পাঠিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।