• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে টাঙ্গাইলের আসন বিক্রি করছেন কাদের সিদ্দিকী!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের প্রার্থী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টির গুঞ্জনে আসনটি ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঐক্যফ্রন্টের কাছে বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামের বরাতে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

ঐক্যফ্রন্ট সূত্রের খবরে জানা, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) এবং টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন কাদের সিদ্দিকী। যদিও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই তার গ্রহণযোগ্যতা ও নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ তছরুপ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সম্পদের তথ্য গোপন করারও অভিযোগ রয়েছে কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের শত নিষেধ সত্বেও অনেকটা গায়ের জোরেই কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের দুটি আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

এখন জানা গেছে, ঋণখেলাপী ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় টাঙ্গাইল-৪ আসনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। সম্ভাব্য পরিণত যাচাই করে কাদের সিদ্দিকী এরই মধ্যে ড. কামালকে টাঙ্গাইল-৪ আসনটি ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে হস্তান্তর করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এদিকে কাদের সিদ্দিকীর আসনে বিকল্প প্রার্থিতা দেয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে ঐক্যফ্রন্ট। যদিও কাদের সিদ্দিকীর চাহিদা একটু বেশি মনে করছেন ড. কামালরা।

বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, টাঙ্গাইল-৪ আসনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত বিগত সরকারগুলোর আমলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জড়িয়ে কিছুটা অনিয়মের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। রাজনীতি করতে গেলে কিছু ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। তবে কাদের সিদ্দিকী মনোনয়ন বাতিল হওয়ার মতো গুরুতর কোন অপরাধ করেননি। কিন্তু তারপরও এই আসনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিলের গুঞ্জন শুনছি আমরা। গুঞ্জনটি যদি সত্যি হয় তবে এই আসনটি হারাতে পারে ঐক্যফ্রন্ট। তাই আসনটি ধরে রাখতে কাদের সিদ্দিকী নিজেই উদ্যোগী হয়ে কিছু টাকার বিনিময়ে ঐক্যফ্রন্টের ভিন্ন প্রার্থীর জন্য আসনটি ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এখানে দোষের কিছু নেই। ঐক্যফ্রন্টের যে প্রার্থী এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি পরোক্ষভাবে কাদের সিদ্দিকীর ইমেজও ব্যবহার করবেন। তাই কাদের সিদ্দিকী তার ইমেজ ব্যবহার করার জন্য মূল্য চেয়েছেন। রাজনীতিতে এসব হয়।