• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আতিয়া মসজিদ বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

প্রায় চারশত বছরের পুরনো বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ঐতিহাসিক মসজিদটি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে অবস্থিত আতিয়া গ্রামের সাথে মিল রেখেই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে  

টাঙ্গাইল শহর থেকে কিলোমিটার দূরে লৌহজং নদী মসজিদের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১৮ মিটার এবং প্রস্থ ১২ মিটার আতিয়া মসজিদে চারটি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে যেগুলোর মধ্যে বড় গম্বুজটি মসজিদের পশ্চিম অংশে অবস্থিত বাকি তিনটি গম্বুজ আকারে ছোট এবং মসজিদের পূর্বদিকে একই সারিতে অবস্থিত মসজিদের চারকোণায় চারটি চমৎকার নকশা করা পিলার ছাড়াও বাহিরের দেয়ালে চমৎকার বৃত্তের মাঝে ছোট ফুলের নকশার কাজ রয়েছে মসজিদের পূর্বদিকে তিনটি, উত্তর দক্ষিণ দিকে দুটি করে প্রবেশপথ রয়েছে

১৬১০ সালে বাইজিদ খান পন্নীর পুত্র মুসলিম জমিদার সাইদ খান পন্নী এই মসজিদটি নির্মাণ করেন স্থানীয়রা বলেন সাধক শাহ বাবা কাশ্মীরির সম্মানে এই আতিয়া মসজিদটি নির্মাণ করা হয় ১৮০০ সালের প্রচণ্ড ভূমিকম্পে আতিয়া মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১৮৩৭ সালে মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করা হয় এছাড়া ১৯০৯ সালে টাঙ্গাইলের করটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী দেলদুয়ারের জমিদার আবু আহমেদ গজনবী খান যৌথভাবে মসজিদটি পুনঃ নির্মাণ করেন

বাংলাদেশে সুলতানি মোগল আমলের যে সব প্রাচীন মুসলিম স্থাপনা রয়েছে, তন্মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা এক সময় বাংলাদেশের ১০ টাকার নোটে মসজিদের ছবি স্থান পেয়েছিল বর্তমান সময়ে মসজিদের মতো ইসলামি স্থাপনা দেশে বিরল