• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সাটুরিয়ায় ওএমএসের পচা চাল বিতরণ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে মেসার্স অনিল টেড্রার্স কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে (ওএমএস) ভালো চালের সঙ্গে পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল মিশিয়ে বিতরণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

এর প্রতিবাদ করায় সাটুরিয়া খাদ্য গুদামের অনুমোদিত ডিলার অনিল চন্দ্র সাহা কার্ডধারীদের হুমকি দিয়েছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।


মঙ্গলবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর ইউনিয়নের শহীদ মিনার সংলগ্ন মেসার্স অনিল টেড্রার্সের দোকান থেকে পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল বিতরণ করার দৃশ্য দেখা যায়। সরকারি গুদাম থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আসলেও বিতরণ করার সময় পাটের বস্তা থেকে চাল বের করতে দেখা গেছে।


এতে কার্ডধারীদের মনে প্রশ্ন জাগে এই চাল সরকারি গুদাম থেকে আসেনি।
জানা যায়, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে হাফিজ জুট মিল লিমিটেড থেকে এই পচা দুর্গন্ধযুক্ত চালের বস্তা প্রস্তুত করা হয় এবং ওই সনেই এই চাল সরকারিভাবে খাদ্য গুদামে আসে।


২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ওই চাল নতুন চালের সঙ্গে মিশিয়ে (ওএমএস) কার্ডধারীদের দিচ্ছে মেসার্স অনিল টেড্রার্স। অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে এই চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও কিছু অসাধু ডিলারের কারণে প্রশ্ন বিদ্ধ হচ্ছে এই মহতি উদ্যোগ।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক (ওএমএস) কার্ডধারীরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের এই চাল কিনে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি। এর মধ্যে কোনো সময় এরকম পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল পাই নাই। তবে এবার এই চাল পেয়ে আমরা হতবাক হয়ে গেছি, এই চাল নেব না বলেছি দেখে ডিলারের লোকজন আর চাল দেবে না এবং মারধরের হুমকি দিয়েছে বলেও তারা জানান।  

অভিযুক্ত মেসার্স অনিল টেড্রার্সের পরিচালক অনিল চন্দ্র সাহার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার তার ব্যক্তিগত ফোনে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন বলেন, সরকার অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে ১০ টাকা কেজি দরে এই চাল বিতরণ করছে আর এই মহতি উদ্যোগকে ব্যর্থ করার জন্য যারা অপচেষ্টা করছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে এই কাজ করে থাকলে তার অবশ্যই শাস্তি হবে। এ   ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো।

সাটুরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল আলম বলেন, সরকারিভাবে যে চাল এবার আসছে তাতে কোনো ধরনের পোকা বা পচা চাল থাকার প্রশ্নই আসে না। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে হাফিজ জুট মিল লিমিটেড এর পাটের বস্তা থেকে এই চাল বের করে গ্রাহকদের বিতরণ করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এবার চাল আসছে প্লাস্টিকের বস্তায় তবে কেউ যদি পুরান চাল নতুন চালের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রাহকদের দিয়ে প্রতারণা করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল ইসলাম বলেন, সদর ইউনিয়নে ওএমএস এর চাল নিয়ে সমস্যা হয়েছে এমন একটি সংবাদ শুনেছি। ইতোমধ্যে খাদ্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।