• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

২০২২ সালে দেশে জাপানি বিনিয়োগের ঢেউ আসবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২১  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০২২ সালে আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত হলে জাপান ভিত্তিক কম্পানি ও যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগের একটি নতুন ঢেউ আসবে বলে বাংলাদেশ আশা করছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং জি-টু-জি ও পি-টু-পি উভয় পর্যায়ের যোগাযোগকে স্বাগত জানায়।

বুধবার ‘জাপান-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১’- এ দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে জাপান ও বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়নে অথবা আইসিটির মতো উদীয়মান খাতে উন্নয়ন অংশীদার হতে পারে। ক্রমবর্ধমান ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট অনুযায়ী যেহেতু জাপান বাংলাদেশের বিদেশি শীর্ষ ৫টি বিনিয়োগকারী দেশের অন্যতম-তাই অর্থায়ন, নির্মাণ, পুঁজি ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মেগা-প্রজেক্টগুলোতে দেশটি আমাদের অন্যতম প্রধান অংশীদার হতে পারে।

জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক এখন এক ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জাপানে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং জাপান থেকে আমদানির পরিমাণ ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের বিনিয়োগ, পণ্য ও রপ্তানি বাজারে বৈচিত্র চাই। আমরা সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়ে শিল্প ও ভোক্তা উভয় বৈশ্বিক বাজারেই সেবা দিতে চাই। বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে ব্যবসা ও অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোতে সহায়তা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জাপানের সাথে জোরদার, বিস্তৃত ও গভীর সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালে জাপানে বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত রচিত হয়েছে, আমরা আজও তার সুফল ভোগ করছি। বর্তমানে, আমরা অর্থনৈতিক কূটনীতির দিতে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হচ্ছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, মাত্র ১২ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে গোটা দেশকে দারিদ্র্যতা থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম-আয়ের দেশে পরিণত করার প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য দক্ষতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন শেখ হাসিনার এই অলৌকিক উন্নয়নের গল্প শোনানো হচ্ছে। এটা বাংলাদেশে গল্প। যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কভিড-১৯ মহামারি কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তখন বাংলাদেশ দ্রুত এই মহামারি মোকাবেলা করে দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রেখেছে।