• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই রাস্তায় ফাটল

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২১  

সাভারের আশুলিয়ার কুড়গাঁও এলাকায় একটি রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা রাস্তাটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম। সাভার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জিডিপি প্রকল্প-৪ এর অধীনে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে কুড়গাঁও বটতলা থেকে ১নং গলি পর্যন্ত ১২শ’ চল্লিশ ফিট রাস্তার নির্মাণ কাজ করার জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ই-আর এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভার উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে কুড়গাঁও বটতলা থেকে ১নং গলি পর্যন্ত ১২শ’ চল্লিশ ফিট রাস্তার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

এর মধ্যে গত বুধবার রাতে রাস্তাটির কিছু অংশ ঢালাই করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেই পুরো রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ফাটল দেখা যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা নির্মাণ কাজে অনিয়ম এবং সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন।

পরে ক্ষুব্ধ জনতা সড়কটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলে খবর পেয়ে সাভার উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, সড়কটিতে রেডিমিক্স ব্যবহার করায় বেশকিছু স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটা কিউরিং করা হলেই ঠিক হয়ে যাবে। 
অভিযোগের বিষয়ে ই-আর এন্টারপ্রাইজের নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আরসিসি ঢালাই শেষে প্রতিটি সড়কেই ফাটল দেখা দেয়। তবে ঢালাই শেষে পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার না করায় এই সড়কে তুলনামূলক ফাটলের পরিমাণ একটু বেশি দেখা গেছে। সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, সিডিউল অনুযায়ী আমরা রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। নমুনা সংগ্রহের পর বুয়েটের ফলাফল আসলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। সাভার উপজেলা প্রকৌশলী সালে হাসান প্রামাণিক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণের পর ২৮ দিন কিউরিং করতে হয়। তারপর কোনো সমস্যা থাকলে বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এই রাস্তাটির তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। ঢালাইয়ের পর কিছুটা ফাটল দেখা গেলেও কিউরিং করার পর রাস্তাটি একদম ভালো রয়েছে, কোনো ধরনের সমস্যা নেই।