• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

৯১ বছর বয়সে নাতির কোলে চরে ভোটকেন্দ্রে কুলসুম

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২১  

‘সব বারই ভোট দেই। এই বার ঘরে পইরা গেছি বলে কি ভোট দিমু না! তাই কি হয়? তাছাড়া বয়স তো অনেক হইছে জীবনে আর ভোট পামু কিনা জানি না তাই ভোট দিতে আইলাম।’

ভোট দিতে এসে এসব কথা বলেন ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের বানসারাম বিশ্বাসের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কুলসুম বেগম। বয়সের ভারে চলাফেরা করতে না পারলেও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে নাতি সাত্তার মোল্যার কোলে চরে নিজ ভোট কেন্দ্রে এসেছেন ভোট দিতে। ভোটও দিয়েছেন নিজ হাতে। 

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘ভোটকে কেন্দ্র করে অনেক দিন পরে বাড়ির বাইরে আইসা পরিচিত অনেক মানুষের সাথে দেহা হয়ে অনেক ভালো লাগতাছে। অহন মনে হইতাছে আমার কোন অসুখ নাই। সারাদিন ঘরের মধ্যে শুইয়া থাকতে আর ভালো লাগে না। তাই ভোটের পরেও বাইরে অনেকক্ষণ বইয়া থাহুম। বাড়ি গেলে তো আর কবে বাইর হমু জানি না।’ শুধু কুলসুম বেগমই নয়, অনেক বয়সী নারী-পুরুষ এবার ভোট কেন্দ্রে এসেছেন ছেলে, ভাই, নাতি কিংবা স্বজনদের কোলে চড়ে। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে তারা বেশ খুশি।
২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হয়। শীতের সকালে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো। ভোটের প্রথম প্রহরে পুরুষের চেয়ে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ আনসার সদস্যর পাশাপাশি র‌্যাব-বিজিবির সদস্যরা টহল ছিল পর্যাপ্ত। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে স্টাইকিং ফোর্স হিসাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত ছিল। ভাঙ্গা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও চরভদ্রাসন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের কোন প্রকার উত্তেজনা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ শেষ হয়।