• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

২০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২১  

মানিকগঞ্জ তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আটটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং দুটিতে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তবে চেয়ারম্যান পদে ৩৮ প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ২০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

কোন ইউনিয়নে কোন প্রার্থী কত ভোট পেয়েছেন: 
দিঘী ইউনিয়নে ৮ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতার উদ্দিন আহমেদ রাজা। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিন মোল্লা পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮৮ ভোট। আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নুসরাত ইসলাম নুপুর পেয়েছেন ৫০০ এবং চশমা প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান পেয়েছেন ৪৭৬ ভোট। এই ইউনিয়নে দুইজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

নবগ্রাম ইউনিয়নে ৯ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গাজী হাসান আল মেহেদি সুহাস। বর্তমান চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) রাকিব হোসেন ফরহাদ পেয়েছেন ১ হাজার ৬৯২ ভোট এবং মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু পেয়েছেন ৯৪৪ ভোট। এখানে একজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

পুটাইল ইউনিয়নে ৮ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিদুর রহমান মহিদ। চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোয়েব আহামেদ রাজা পেয়েছেন ৩ হাজার ৮২৭ ভোটে এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আব্দুল জলিল পেয়েছেন ১ হাজার ৬৩৯ ভোট। এখানে একজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

৩ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়ে ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল জলিল। কাপ-পিরিচ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশরারফ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ২৬৮ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ১ হাজার ৫৪৭ ভোট, রজনীগন্ধা প্রতীকের প্রার্থী সিদ্দিক খান পেয়েছেন ১ হাজার ২৮২ ভোট, অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ২৩৯ ভোট, চশমা প্রতীকের প্রার্থী ছামসুল হক সাগর পেয়েছেন ১ হাজার ১২৯ ভোট, বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৮৫৭ ভোট, টেবিল ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন লাভলু পেয়েছেন ৩৪৯ ভোট, দুটি পাতা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খান দীপক পেয়েছেন ৩৩৭ ভোট, আনারস প্রতীকের প্রার্থী জাফর ইমাম শাহজাদা পেয়েছেন ৩৩৪ ভোট,  টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সাহিদ হোসাইন অনিক পেয়েছেন ১৯৭ ভোট এবং ঢোল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদশাহ মিয়া পেয়েছেন ৩৪ ভোট। উল্লেখ্য, ১২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

হাটিপাড়া ইউনিয়নে ৮ হাজার ৩৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম মনির হোসেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মজনু পেয়েছেন ৫ হাজার ২২৮ ভোট এবং সাবেক চেয়ারম্যান অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বিশ্বাস মাদল পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬২ ভোট।

১০ হাজার ৬৪৪ ভোট পেয়ে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম হোসেন বিপ্লব। সাবেক চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আব্দুল হামিদ চান্দু দারোগা পেয়েছেন ৫ হাজার ২৪৫ ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৬৭৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতাপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল মোস্তাফা কাজল পেয়েছেন ৩২৯ ভোট এবং আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র পার্থী জবেদ আলী সরকার পেয়েছেন ২০৩ ভোট। পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তিনজনের জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

৬ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে আটিগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর-এ আলম সরকার। সাবেক চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নার্গিস আক্তার বাচ্চা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৭৭ ভোট এবং মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী সালাউদ্দিন টিটু পেয়েছে ১ হাজার ২৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতাপাখা প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৩৩৬ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থী মঞ্জুর আলম পেয়েছে ১১৩।  

বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নে ৫ হাজার ৭২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আসমত আলী। বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাছির উদ্দিন পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৪৯ ভোট এবং চশমা প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ফারুক আহমেদ ফিলিপ পেয়েছেন ৪ হাজার ৭১৯ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান  বলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ও জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আফসার উদ্দিন সরকার এবং জাকির হোসেন। অন্য আট ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৯০টি সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৩ জন এবং ৩০টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।