• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

গৃহবধূকে ১ বছর ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২২  

নোয়াখালীর সুধারামের চরমটুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম মহতাপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন।

পুলিশ দাউদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। ওই গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।
 
ভিকটিম বলেছেন, ‌‘গত এক বছর থেকে ৯-১০ জন বিবাদী বিভিন্ন সময়ে আমাকে একা পেয়ে, ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে আসছে। তারা আমাকে হুমকি দিয়ে যায়, এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলবে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে ঢুকে স্থানীয় জসিম (মেম্বার প্রার্থী), হাসান, হৃদয়, মুন্সীয়াসহ ৪ জন আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর কথা বলে। জানালে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবলুকে বিষয়টি খুলে জানাই। তিনি বিষয়টি শুনে আমাকে থানায় পাঠান।’

ভিকটিম জানান, ‘আমার স্বামী মহিউদ্দিন ওরফে দুখু ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় বাবুর্চির চাকরি করেন। এই সুবাধে আমাকে ঘরে একা পেয়ে এ ঘটনা ঘটায় তারা। তারা আমাকে দীর্ঘদিন অত্যাচার, পাশবিক নির্যাতন ও পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসছে।’ 
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪জন ছাড়াও আরও কয়েকজন বিভিন্ন সময়ে জড়িত থাকার কথা নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা হলো মেহরাজ, খোকন, দাউদসহ কয়েকজন। এর আগে ঘটনাটি স্থানীয় মেম্বার রিয়াজ ও মসজিদ কমিটির নেতা ফয়েজসহ কয়েকজনকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।’ 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি, বরং অন্য সমাজকে জানানো হয়েছে। আমরা পরে শুনে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি এবং চৌকিদার দিয়ে মেয়েকে থানায় পাঠিয়েছি।’ 

চরমটুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এই নারী আমার ইউপি অফিসে এসে আমাকে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি নারীর বরাত দিয়ে বলেন, ‘নারী বলেছেন- তাদের নির্যাতন (ধর্ষণ) আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমাকে তারা আওয়ামী লীগ নেতা নিশাত সেলিমের মতো হত্যার হুমকি দিয়ে বার বার নির্যাতন ও ধর্ষণ করছে। পরে আমি এই অসহায় নারীকে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কতা বলি।’

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, ‘এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ দাউদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। নারীর মেডিকেল পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।’