• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত শুরু

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯  

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) এক স্কুল ছাত্রী (ভিকটিম) ও তার মা, দু'জন প্রত্যক্ষদর্শী ও অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন বলে তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন।

এ ছাড়া অপর এক স্কুল ছাত্রী (ভিকটিম) ও তার মা মির্জাপুরের বাইরে থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তাদের বক্তব্য নেয়ার জন্য পুনরায় নোটিশ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানি গ্রামে অবস্থিত মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ কলেজের একটি কক্ষে আটকে রেখে ওই দুই স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী করেছেন বলে দুই স্কুল ছাত্রীর মা মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

এদিকে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ মির্জাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর শহিদুর রহমান শিপনসহ স্থানীয় লোকজন নিয়ে চাপ প্রয়োগ করে ১২ জানুয়ারি রাতে অভিযোগকারি স্কুল ছাত্রীর মা রাশেদার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষরও নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি ১৩ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জকে রাশেদা বেগম লিখিতভাবে অবহিত করার পর পুলিশ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিপনের কাছ থেকে ওইদিন রাতেই ওই কাগজ উদ্ধার করেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে সাত আটজন শিশু-নারী মিলে কলেজ মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। কলেজের অধ্যক্ষ মাঠে থাকা কয়েকজন মেয়ে শিশুকে কলেজ দেখানোর কথা বলে ডেকে ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাদের বিস্কুট খাইয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রীকে একটি কক্ষে নিয়ে সবাইকে বের করে দেন। পরে দরজা আটকে রেখে ওই দুই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে অধ্যক্ষ তাদের শ্লীলতাহানী করে।

এ সময় তারা চিৎকার করলে এক ছাত্রীর মা এগিয়ে গেলে অধ্যক্ষ কলেজ ভবনের গেটের তালা খুলে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে দুই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন উপপরিদর্শক (সআই) মনিরুজ্জামান মুন্সি ঘটনাস্থলে গিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ওই দুই ছাত্রীর বাড়ি মহিলা কলেজ সংলগ্ন বাওয়ার কুমারজানী গ্রামে। দুই স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর ঘটনাটির সত্যতা উদঘাটনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক।

তদন্ত কমিটি আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত শুরু করেছে বলে কমিটির প্রধান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন।