• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২২  

জনগণকে নিকটতম সুবিধাজনক স্থান থেকে উন্নতমানের পাসপোর্ট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করবে সরকার। একই সঙ্গে সিলেট, চট্টগ্রাম (মনসুরাবাদ), কক্সবাজার, যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে সর্বমোট ২১টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপদ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সেবা প্রদান করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাসপোর্ট সেবাপ্রত্যাশীদের দ্রুততর সময়ে ও সুষ্ঠুভাবে সেবা পৌঁছানো সহজতর হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতায় বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প ব্যয়ের পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে মেটানো হবে। এ প্রকল্পসহ ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে সংস্থান হবে ৩ হাজার ৫৫ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যাবে ১ হাজার ৫৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হোন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ এবং আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম প্রমুখ।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- নেত্রকোনা-বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুরের অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরোশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ (ইউএফ-৮৫) প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর এবং যশোর জেলায় বিটাকের ৬টি কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।