• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

জমি দখল করতে শিক্ষক ও পরিবারের নামে ২৬ মামলা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

জমি দখল করতে শিক্ষক ও পরিবারের নামে ২৬ মামলা গাজীপুরের কাশিমপুরে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষকের জমি দখলে নিতে বিভিন্ন ঘটনা দেখিয়ে অন্তত ২৬টি মামলা করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। সর্ব শেষ গত ১৬ মে খামারের মুরগি ও টিন লুটের ঘটনা দেখিয়ে মামলায় শুক্রবার পুলিশ ঐ স্কুলশিক্ষক ও তার ভাতিজাকে গ্রেফতার করে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

আলোচিত এ ঘটনাটি তদন্ত করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ঐ স্কুলশিক্ষকের নাম কফিল উদ্দিন আহমেদ (৭৯)। তার ভাতিজার নাম জহিরুল ইসলাম ওরফে রাজু (৩৭)।

ঐ স্কুলশিক্ষকের পরিবারের অভিযোগ, শুধু এই একটি মামলা নয়, জমি দখলে নিতে এর আগে নামে-বেনামে একই রকমের গল্প  সাজিয়ে বিভিন্ন থানায় ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে।

এ ঘটনায় শনিবার গাজীপুর মেট্রেপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুত্ফুল কবির একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বরকত উল্লাহকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন উপ-কমিশনার (স্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. মিজানুর রহমান ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ক্রাইম) মো. খায়রুল ইসলাম। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

বৃদ্ধ শিক্ষকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাগবাড়ী এলাকায় তাদের পৈতৃক সূত্রে ১ একর ৮০ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমি রাজধানীর গুলশান এলাকার ফজলুল করিমের ছেলে ইমতিয়াজ করিম তার সহযোগী বেলায়েত হোসেন, জসিম উদ্দিন চিশতী ও লায়লা আরজু বানু বিভিন্ন সময়ে দখল করার চেষ্টা করে আসছেন।

তারা জমি দখলে নিতে ঐ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাভাবে মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এরমধ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তি ইমতিয়াজ করিম ছয়টি মামলার বাদী অপর মামলাগুলোর বাদী করা হয়েছে বিভিন্ন জনকে। বর্তমানে ১৩টি মামলা এখনো চলমান রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৬ মে ইমতিয়াজ করিম বাদী হয়ে বৃদ্ধ স্কুলশিক্ষক কফিল উদ্দিন আহমেদ তার দুই মেয়েসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় শুক্রবার সকালে কাশিমপুর থানা পুলিশ বৃদ্ধ স্কুলশিক্ষক কফিল উদ্দিন আহমেদ ও তার ভাতিজা জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

স্কুলশিক্ষকের মেয়ে কামরুন্নাহার বলেন, আমরা চার বোন ও এক ভাই। বাবা স্কুলশিক্ষক ছিলেন। বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। এ ব্যাপারে ইমতিয়াজ করিম বলেন, তারা লোক ভালো নয়, খোঁজ নিয়ে দেখেন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগের কথা তারা বলেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও তিনি জানান।

কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খোদা বলেন, মুরগি ও টিন নিয়েছে কি না জানিনা। তবে ওয়াল ভেঙেছে এবং বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলেছে, এটা সত্য। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাটি আরো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।