উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যেকোনো প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষায় পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা রাখা ও জলাধার সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে গণভবনে কয়েকটি প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা পর্যবেক্ষণের সময় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

তিনি বলেন, যে কোন প্রকল্প গ্রহণ করলে সেখানে পরিবেশটা যাতে গুরুত্ব পায় সেদিকে সকলের দৃষ্টি দিতে হবে। জলাধার সংরক্ষণ, পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা রাখা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রেখেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে গণভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউক উপস্থাপিত কয়েকটি নির্মাণ প্রকল্পের নকশার উপস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউক প্রস্তাবিত ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহুতল আবাসিক ভবন; পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শিবচরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার।

এসময় তিনি প্রত্যেকটি এলাকার নির্দিষ্ট শিল্প-জোনের বাইরে যাতে যেখানে সেখানে শিল্পকারখানা গড়ে না ওঠে, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখারও নির্দেশ দেন। এক্ষেত্রে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও প্রযুক্তিপণ্য সংক্রান্ত শিল্প গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব বাড়াতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রপ্তানি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এজন্য ছোট শিল্পপতিষ্ঠানগুলোকে ভর্তুকি দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যেকটি এলাকায় নির্দিষ্ট শিল্প জোনে হবে। যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ডাইভারসিটি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অ্যাগ্রো প্রসেসিং এবং আইটি ডিভাইস সংক্রান্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণসহ সকালে বেশ-কটি প্রকল্পের নকশা প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ সময় চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।