• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষক উৎপল হত্যা: আজও উত্তাল সাভার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২  

শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডে আজও উত্তাল সাভার। খুনি শিক্ষার্থী আশরাফুল আহসান জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে সাভার উপজেলার প্রধান ফটকের সামনে ফেডারেশন অব কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ২১টি সংগঠনের সহস্রাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

আজকের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- শিক্ষকদের নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে, আশরাফুল আহসান জিতুর দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, নিহতের পরিবারকে সর্বোচ্চ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, জিতুর সহযোগীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে ও স্থানীয় ও ভাড়াটিয়া শিক্ষার্থীদের ভেদাভেদ নির্মূল করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


মানববন্ধনে ফেডারেশন অব কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের (ফোকা) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জীতু বলেন, আমরা খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে করে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষকদের অবমাননা করতেও সাহস না পায়। এমন শাস্তি নিশ্চিত করা হোক যেন শাস্তি দেখে পরিবার সন্তানদের আসকারা না দিয়ে চরিত্র গঠনে সহায়ক হয়।

তিনি বলেন, এখন মানববন্ধন করা হলো। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্বারকলিপি প্রদানসহ সকল শিক্ষক কালো ব্যাচ ধারণ করবেন।

হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই কিশোর গ্যাং নির্মূল হোক। জিতু পরিকল্পনা করে শিক্ষক উৎপলকে হত্যা করেছে। সে তার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল। যেখান থেকে জিতুকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী ছিল। তার কাছেই সে আশ্রয় নেয়। সুতরাং জিতু যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তা স্পষ্ট। আমরা চাই পুরো ঘটনা স্পষ্ট করা হোক।

শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষক উৎপলকে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে শিক্ষার্থী জিতু। পরে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (২৭ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা করলে ২৮ জুন রাতে কুষ্টিয়া থেকে জিতুর বাবা ও ২৯ জুন গাজীপুর থেকে জিতুকে গ্রেফতার করা হয়।