• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন, জাবিতে গণতান্ত্রিক আবহ ফেরার আশা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেটের এক বিশেষ অধিবেশনে আগামী ১২ আগস্ট উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ আট বছর পর এই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক আবহ ফিরবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এই নির্বাচনকে ঘিরে জাবির শিক্ষক রাজনীতিতে মেরুকরণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের।

উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি। নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে শিক্ষকদের মধ্যে। ইতোমধ্যে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী শিক্ষকরা। প্যানেলে অংশগ্রহণকারীদের ইমেজ ও ভোটব্যাংকের বিবেচনায় ভোটারদের পছন্দের প্যানেলে ঢুকতে চেষ্টা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন এমন অনেক শিক্ষকের নাম ইতোমধ্যে সামনে এসছে। তাদের কেউ কেউ প্রত্যক্ষভাবে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিলেও পরোক্ষভাবে অনেকের নাম গুঞ্জনে ভাসছে। তবে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করলেও নীরব অবস্থানে রয়েছে বিএনপি ও বামপন্থী শিক্ষকরা। এখন পর্যন্ত তাদের প্যানেলের ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’র নেতৃস্থানীয় এক শিক্ষক জানান, নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মাঝেই দুইয়ের অধিক প্যানেল হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একাধিক প্যানেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাকে ভালো চোখে দেখছেন না এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে সংগঠনে ভাঙন ধরতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার এবং সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবিরের নির্দেশনায় নির্বাচনে আসতে পারে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেলগুলো। আলোচনায় থাকা এই প্যানেলগুলোর বাইরেও নতুন প্যানেল আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

নূরুল আলম নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদারকে ইতোমধ্যে বাছাই করা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এ. মামুন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুহু আলম—এই তিন জন থেকে যেকোনও একজনকে সঙ্গে নিয়ে প্যানেল ঘোষণার ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে।

প্যানেল গঠন করতে পারেন কোষাধ্যক্ষ রাশেদা আখতার। জানা গেছে, তার নেতৃত্বাধীন প্যানেল থাকতে পারেন প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হেল কাফি ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান।

এর বাইরে সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবীরের নির্দেশনায় গঠন হতে পারে আরও একটি প্যানেল। একটি সূত্রের তথ্য বলছে, এই প্যানেলে সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আমির হোসেনের সঙ্গে থাকতে পারেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।

এদিকে উপাচার্য প্যানেল নিবার্চনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরবে বলে আশা রাখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনরা। 

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবার্চনগুলো নিয়মিত হোক এটাই চাই। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরবে। এছাড়া নিবার্চনগুলো নিয়মিত হলে শিক্ষকদের মধ্য থেকে নতুন যোগ্য নেতৃত্বও উঠে আসবে।’