• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কমেছে তিস্তার পানি, স্বস্তি পানিবন্দি মানুষের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

নীলফামারীতে কমেছে তিস্তার পানি। শুক্রবার বিকেল তিনটায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি কমায় তিস্তাপাড়ের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার তিস্তার আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার বন্যকবলিত হয়।


শুক্রবার এসব এলাকা থেকে পানি নেমে গেলে স্বস্তি ফিরেছে পানিবন্দি মানুষের মধ্যে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির কারণে বৃহস্পতিবার রাতে ইউনিয়নের প্রায় ৭০০ পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। শুক্রবার নদীর পানি কমার সঙ্গে এসব পরিবারের বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেছে। ’

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই ও ঝাড়সিংহেরশ্বর গ্রামে তিস্তা নদীর পানি প্রবেশ করে। এতে করে ওই দুই গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যায়। দ্রুত পানি কমায় জমির ক্ষেতের তেমন ক্ষতি হয়নি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উজানের ঢলে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে। এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় আরো বৃদ্ধি পেয়ে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এরপর পানি কমতে শুরু করলে শুক্রবার সকাল ছয়টায় ১৫ এবং সকাল নয়টায় ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকাল তিনটায় আরো কমে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচে নামে। ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ৬০ মিটার।

গত ১২ জুন থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে বাড়া-কমার মধ্যে ছিল। ১৭ জুন বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২০ জুন ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর পর পানি কমলে ২৯ জুন আবারো বিপৎসীমা অতিক্রম করে পরদিন উন্নতি হয়। ১ আগস্ট বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে ৩ আগস্ট বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে নামে। সেই থেকে প্রায় একমাস পর বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ফের বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ছয়টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল নয়টায় ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকাল তিনটায় ২৫ সেন্টিমিটার নিচে নামে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। ’