সাভারের বেদেপল্লিতে দিনবদলের ছোঁয়া
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘মোরা এক ঘাটেতে রান্ধি বাড়ি আরেক ঘাটে খাই, মোদের ঘরবাড়ি নাই’— এমন বহু কালজয়ী গান বেদে ও সাপুড়েদের নিয়ে রচিত হলেও এখন আর তেমন চোখে পড়ে না বেদেদের সেই চিরচেনা জীবনাচার। বেদেদের সাপ ধরা, বীণের সুরে সাপের খেলা দেখানো, শিঙা লাগানো, তাবিজ বিক্রি এবং দাঁতের পোকা ফেলানোর দৃশ্য এখন অতীত প্রায়।
জীবিকার তাগিদে নদীতে সারি সারি নৌকার পাল নিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভেসে বেড়ানো বেদেদের জীবনে লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। যুগ যুগ ধরে অবহেলিত হলেও বর্তমানে এরা নিজ প্রচেষ্টায় গাইতে শুরু করেছে জীবনের জয়গান। এ চিত্র সাভার বেদেপল্লির। নৌকা ছেড়ে ডাঙায় ঘরবাড়ি বাঁধলেও এদের একটি অংশ আজও তাদের বংশ পরম্পরার প্রাচীন এ পেশায় জীবনযাপন করছে। আর অন্য একটি অংশ খুঁজে নিয়েছে তাদের জীবনধারণের নতুন অবলম্বনকে।
সাভার পৌর এলাকার পাশে সাভার ইউনিয়নের পুরাবাড়ি (খঞ্জনকাঠি) এলাকায় তিন একর ৫০ শতাংশ জমিতে বেদেদের জন্য গড়ে উঠছে উত্তরণ পল্লী। বাংলাদেশে বেদেদের আগমন ও বিস্তার নিয়ে রয়েছে নানা মত। গবেষণাও করেছেন অনেকে। বেদেরা নিজেরাও বিষয়টি সম্পর্কে নানা মত দিয়েছেন। নৃবিজ্ঞানীদের মতে—বাংলাদেশে বেদেদের আগমন আরাকান অর্থাৎ আজকের মিয়ানমার থেকে। ১৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন আরাকানরাজ বল্লাল রাজার সঙ্গে শরণার্থী হিসেবে তারা এদেশে এসেছিল। পরবর্তীকালে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আবার কারো কারো মতে, প্রাচীনকালে তারা সুদূর মিশর থেকে এসেছিল। তারা বেদুইন জনগোষ্ঠীর।
বেদুইন থেকে ‘বেদে’ শব্দের উৎপত্তি। বেদে সমাজে জনশ্রুতি রয়েছে, ভারতে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার পান্ডুয়াতে বেদেরা এক সময়ে রাজত্ব গড়ে তুলেছিল। আরেকটি জনশ্রুতি রয়েছে, বেদেরা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের উত্তরসুরি। বেদেদের আগমন ও ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের এসব মতামত ও জনশ্রুতির কোনটা সঠিক, তা নিরূপণ করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য এবং বিতর্কের বিষয়। তবে এটি প্রায় সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন যে, বেদে সম্প্রদায় বাংলাদেশে কয়েক শ বছর ধরে আছে এবং এদেশের সমাজ-সংস্কৃতিতে তারা মিশে গেছে।
সাভার উপজেলার বংশী নদীর তীর ঘেঁষে বক্তারপুর, কাঞ্চনপুর, অমরপুর, পোড়াবাড়ী এ চারটি গ্রাম ‘সাভার বেদেপল্লি’ বা ‘বাইদ্যাপাড়া’ নামে পরিচিত। বংশী নদীর বেদে বহরের নৌকা ছেড়ে অনেক বেদে পরিবার জমি কিনে সাভার বেদেপল্লিতে তাদের স্থায়ী বসত গড়ে তুলেছেন। প্রায় ১৬ হাজার বেদের বসবাস এ পল্লিতে। অনেকেই বিকল্প পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্থানীয় বাজারে দোকান করা, হাঁস-মুরগি ও কবুতর পালন, মাছ চাষ বা কাঁথা সেলাইয়ের মতো কাজ। নিজেদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের অবহেলিত এ গোষ্ঠীর জীবনে লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। সাভার বাইদ্যাপাড়ার কিশোরী খাদিজা কিছু দিন আগেও যেখানে বিভিন্ন বিষধর সাপ নিয়ে বেদেপল্লির হাটে খেলা দেখাত সে এখন বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যায়। ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পল্লির তরুণরা। বেদে নারীরাও নিজেদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিঙা লাগানো, তাবিজ বিক্রি বা দাঁতের পোকা ফেলানোর মতো কাজ ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছেন সেলাই মেশিন এবং বিউটি পার্লারের ব্যবসা। বেদে যুবকরা টেইলার্সের দোকান খুলে সৃষ্টি করেছেন আত্মকর্মসংস্থান। আবার অনেকই গার্মেন্টস ও মিলকারখানায় চাকরি করছেন। পল্লির অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, তারা এখনো অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং বিভিন্নভাবে অবহেলিত। পল্লির রাস্তাঘাট, মানসম্মত ড্রেনেজ সুবিধা, গ্যাসসহ অনেক নাগরিক সুবিধা তারা পাচ্ছেন না।
তাদের জীবন বদলে দেওয়ার জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন তৎকালীন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ও বর্তমান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। তিনি বেদে জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনসহ পল্লির নারী-পুরুষদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার জন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। এরই অংশ হিসেবে পল্লির ১০৫ জন বেদে নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করান এবং তাদের তৈরি পোশাক বিক্রির জন্য ‘উত্তরণ বুটিকস’ নামে একটি শো-রুম করে দিয়েছেন। বেদে যুবকদের স্বাবলম্বী করতে ৩৫ জনকে গাড়ি চালনা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করান এবং কয়েক জনকে পুলিশ বাহিনীতে চাকরির সুযোগ করে দেন। কয়েক জন তরুণী শুরু করেছেন বিউটি পার্লারের ব্যবসা। এছাড়া তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত ‘উত্তরণ ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বেদে সন্তানদের লেখাপড়া ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
- আরও স্যাংশনস দেবে, দিতে পারে, এটা তাদের ইচ্ছা
- পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে ‘এজেন্সি’ নিয়োগ দেবে সরকার
- গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং দায়িত্ব পাচ্ছেন বিদেশিরা
- মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা স্মরণে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আজ
- ব্যাপক নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছেছে ইউরেনিয়াম
- দেশের ভাবমূর্তি আরো জোরদার করতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
- সাবেক বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামাল আর নেই
- উন্নয়নে কোনো বিভাজন চলবে না: রাষ্ট্রপতি
- রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান
- দেশের ভাবমূর্তি আরও জোরদারে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
- ধানমন্ডি সোসাইটির উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসা পেল ৫০০ সাধারণ মানুষ
- দেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা
- ঢাকাসহ সব বড় শহর তারমুক্ত হবে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- দেশে এলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানির প্রথম চালান
- সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: রাষ্ট্রপতি
- জন্মদিনে শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
- জন্মদিনে শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
- চীন ও ভারত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
- ঢাকাসহ সব বড় শহর তারমুক্ত হবে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২ দেশে যাচ্ছে চলনবিলের শুঁটকি
- এবার ভারত থেকে মাংস আমদানির উদ্যোগ
- সশস্ত্র বাহিনীতে পাঁচ বছরে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম
- অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি পাচ্ছে ছয় প্রতিষ্ঠান
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ গুরুত্ব
- পাবনার মানুষ এত বঞ্চিত : রাষ্ট্রপতি
- বিশ্বকাপের পর একদিনও অধিনায়কত্ব করব না : সাকিব
- ভিসানীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই
- প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তুরাগ নদে নৌকা বাইচ করবে বিআইডব্লিউটিএ
- অবিশ্বাসীদের বয়কটের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- ডিজিটাল পেমেন্ট নিরাপদ করতে নতুন নীতিমালা জারি
- মোহাম্মদপুরে ফার্নিচার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
- মানিকগঞ্জে ১১৪০ টাকার গ্যাস ১৫০০ টাকায় বিক্রি!
- বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলায় শিশু গৃহকর্মী হেনাকে খুন করেন সাথী
- কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- মানিকগঞ্জে জামিনে বের হয়ে মাদকসহ আবার গ্রেপ্তার
- আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা
- সরকারি চাকরিতে সৃষ্টি হচ্ছে ৬,৪০৯ নতুন পদ
- অনলাইনে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- দক্ষিণ সিটির দুই ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা
- মানবাধিকার রক্ষার নামে যেন রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি না হয়
- আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- পাকিস্তান থেকে এলো ১১৬ টন পেঁয়াজ, কমতে শুরু করেছে দাম
- বিশ্বকাপের পর একদিনও অধিনায়কত্ব করব না : সাকিব
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সংলাপ আজ
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল সুবিধা বাড়ল
- নারীর পায়ে ছোবল দিল জালে জড়ানো অজগর
- জি২০ শীর্ষ সম্মেলন : বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরবে ভারত
- জিআই সনদ পেল ৭ পণ্য
- পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
- ২৯ প্রাণ বাঁচল এক ফোনে