• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২২  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, অপ্রত্যাশিত হারে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়েই চলছে। প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত "ঢাকা ক্লাইমেট টক ২০২২" অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে এক ভয়াবহ বাস্তবতা বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য। কিন্তু এই প্রতিকূলতা আমাদের উদ্ভাবনী টেকসই সমাধানগুলো অন্বেষণ করার জন্য এক বিশেষ-দ্বার উন্মোচন করেছে।

তাই এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এই দেশের তরুণদের যথাযথ নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। ' তিনি আরো বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। উদাহরণস্বরূপ খুব সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত হারে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়েই চলছে। এই সমস্যার সমাধান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এসব দুর্যোগ দেশের দরিদ্রদের বেশিরভাগকে প্রভাবিত করছে।

এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে আমাদের কৃষি খাতে। দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে উল্লেখযোগ্য সৃজনশীল সমাধান রয়েছে। '

ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, "বিশেষ করে ভৌগলিক অবস্থান, ভাষা এবং তার এলাকায় বিদ্যমান জলবায়ু ঝুঁকির প্রকৃতি বিবেচনা করে তরুণরা প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য একটি উপযুক্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে পারে। এছাড়াও টেকসই প্রকৃতি-ভিত্তিক জলবায়ু সংকটের সমাধানের জন্য 'সবুজ উদ্যোক্তা' হিসেবে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জনগোষ্ঠীর জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তনে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে। "

আমাদের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রয়োজনানুসারে এমন সিস্টেম নিয়ে আসা যেতে পারে যা আবহাওয়ার আরো ভালো পূর্বাভাস দিতে পারে এবং এই তথ্যগুলিকে অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলতে পারে। আমি নিশ্চিত যে তরুণরা এই সমস্যাগুলি মোকাবেলায় ডিজিটাল পদ্ধতি এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। এভাবেই আমরা দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন চালিয়ে যেতে পারব বলে আশা করি। '

তিনি বলেন, 'আরেকটি বড় সমস্যা হল দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দুর্যোগ তাদের জীবনকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রকৃতি-বান্ধব ব্যবসা এবং জীবনধারার জন্য উদ্যোগ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ঝুঁকি মোকাবেলায় জনগণ নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে। অভিযোজনের জন্য প্রাথমিক প্রয়োজন হলো সঠিক লোকায়িত জ্ঞান ও বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে আমাদের তরুণদের নেতৃত্বাধীন ভূমিকা থাকা । আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তরুণরাই প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে। '