• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সাটুরিয়ায় কৃষকের মুখে হাসি নেই

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯  

সাটুরিয়া উপজেলায় শীতকালীন সবজি ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়েছে গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে ফুলকপির ফলন অনেক বেশি হয়েছে এ বছর মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় প্রায় ১২৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে বেশি অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফুলকপির ফলন আশানুরূপ অনেক বেশিই হয়েছে ফুলকপির বাম্পার ফলন হওয়ার পরও নেই কৃষকের মুখে হাসি ফলন বেশি হওয়ার পরেও লোকসান গুনতে হচ্ছে অধিকাংশ কৃষককে যার ফলে হতাশায় ভুগছেন সাটুরিয়া উপজেলার ফুলকপি চাষিরা

হতাশার কারণ জানতে চাইলে, সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ ইউনিয়নের হরগজ শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক মো. রাসেল বলেন, এ মৌসুমে ফুলকপির ফলন অন্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে কিন্তু ফলন ভালো হলেও সঠিক মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না ফুলকপির প্রতিটি ফুলকপি ফলানোর জন্য প্রায় দশ টাকা খরচ হচ্ছে কিন্তু কপি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে গেলে দাম পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫ টাকা ফলন বেশি হওয়ার পরেও নেই কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি

হরগজ মধ্যকান্দি গ্রামের কৃষক মো. মোশারফ বলেন, আমি বিশ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছি উৎপাদন খরচের অর্ধেকও তুলতে পারিনি আমাদের সাটুরিয়া উপজেলায় সবজির কোনো পাইকারি বাজার না থাকায় গাড়ি ভাড়া করে লাভের খোঁজে কাওরান বাজার নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না সাধারণ কৃষকের কারণ, কাওরানবাজার নিয়ে যেতে প্রতিটি ফুলকপির দাম পরে ১০-১২ টাকা আর পাইকারি বিক্রি করতে হয় ৫ থেকে ৭ টাকা তখন বাধ্য হয়েই কৃষককে ফুলকপির দাম যাচাই না করেই তুলে দিতে হয় স্থানীয় পাইকারদের হাতে ফলে লাভের দেখা মিলছে না কৃষকের

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার এমদাদুল হক জানান, সাটুরিয়া উপজেলায় এবছর ফুলকপির চাষ অনেক ভালো হয়েছে ফুলকপির চাষ ভালো হওয়ার পরেও স্থানীয় সবজির কোনো পাইকারি হাট না থাকায় কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে আলাপ আলোচনা করে স্থানীয় একটি পাইকারি সবজির বাজারের ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া চলছে