• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাবিতে জীন প্রকৌশল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২২  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উপর দুইদিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সহযোগিতায় Communicating Science of Genome Editing শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের বায়োটেক ক্লাব।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে কর্মশালার সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেন ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশর নির্বাহী পরিচালক মোঃআরিফ হোসাইন।

এর আগে, শুক্রবার কর্মশালার প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও সামাজিক সংগঠনের মোট ২৬ জন শিক্ষার্থী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার অনন্যা সান্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এন্ড কমিউনিকেশন স্পেশালিষ্ট সাদিক উদ্দিন, এডভোকেসি এন্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার ফারুক হাসান এবং নির্বাহী পরিচালক মোঃআরিফ হোসাইন। কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা দেশের প্রান্তিক কৃষকদের কাছে জীবপ্রযুক্তিনির্ভর কৃষিউপকরণ পৌছে দেয়ার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আরিফ হোসাইন বলেন, বিগত কয়েক দশক ধরে কৃষিতে জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার খাদ্যের গুনগত মানবৃদ্ধিসহ ফলন বৃদ্ধি এবং বিশ্বজুড়ে কৃষি উৎপাদন ব্যয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বাংলাদেশে নিরাপদ এবং টেকসই খাদ্য সুরক্ষার জন্য আধুনিক কৃষি উদ্ভাবনের সুবিধা সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে আরো স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি তরুনদের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান এবং এর উদ্ভাবনগুলোর প্রতিফলন ঘটা উচিত।

দুইদিন ব্যাপী কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক তানভীর আহামেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে কৃষিতে নতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে। পাশাপাশি আধুনিক উদ্ভাবনগুলো কিভাবে দেশের সব পর্যায়ে জনপ্রিয় করা যায় এই ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে। বাংলাদেশের তরুণরা খাদ্য নিরাপত্তায় আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।