• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

এনআইডির সঙ্গে সমন্বয় করে পাসপোর্ট সমস্যা সমাধানের সুপারিশ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

প্রবাসীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতা পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত সমাধান করতে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বসে সমন্বয় করে সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুল মজিদ খান, কাজী নাবিল আহমেদ, নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের জানান, পাসপোর্ট ও এনআইডির সঙ্গে সমন্বয় করে সংশোধন অথবা নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বসে সমন্বয় করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে।

বৈঠকে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব মিশন ১১টি মিশনের কার্যক্রম বৈঠকে তুলে ধরেছে বলে জানান মুহাম্মদ ফারুক খান।

তিনি বলেন, আমরা তাদের ধন্যবাদ দিয়েছি। তবে বলেছি, কেবল ভালো কাজের ফিরিস্তি দিলে হবে না। নিশ্চয়ই এমন কিছু রয়েছে যেটা তারা পারেনি। কোনো সমস্যা আছে কিনা বা তাদের সীমাবদ্ধতা থাকলে তা জানাতে হবে। এটা জানলে হয়তো আমরাও ব্যবস্থা নিতে পারি।

কমিটি সূত্র জানায়, কম্বোডিয়াতে বাংলাদেশিদের নিয়ে জোর পূর্বক অনলাইনে যৌন ব্যবসার কাজে ব্যবহার করার যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তা নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানিয়েছে এ কর্মকাণ্ডের মূলহোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদেরও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কাজে বাংলাদেশের থাইল্যান্ড দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সেই অভিযোগ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

জানা গেছে, সুইডেন ও ডেনমার্কের মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরীরিফের অবমাননার বিষয়ে দ্রুত প্রতিবাদ পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছে কমিটি। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা শুধু প্রতিবাদ এ দুটো দেশের কাছে পাঠাইনি, যুক্তরাষ্ট্র-ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের কাছেও প্রতিবাদ পাঠিয়েছি। তাদের বলেছি— তোমরাতো ফ্রিডম অব স্পিচের বিষয়ে কথা বলো, কিন্তু এখন কথা বলছো না কেন?’ অন্যান্য রাষ্ট্রকেও এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে বৈঠকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যেন আর কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য বিজিবির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নিমিত্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পত্র পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। আর যেসব দেশে বাংলাদেশ ব্যাপারে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা রোধকল্পে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মিশনগুলো কী ধরনের ভূমিকা পালন করছে, তা কমিটিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিশ্বের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিত মতবিনিময় করার সুপারিশ করা হয়।