• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ডিবি পরিচয়ে সাভারে ৩ যুবককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ঢাকার সাভার থেকে তিন যুবককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ভুক্তভোগীদের কোনো হদিস পায়নি স্বজনরা। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাভার পৌর এলাকার তারাপুর মাঠ থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়।  

ভুক্তভোগীরা হলেন- তুষার মিয়া (২০), রাসেল (১৯) ও স্বপন (২০)। তারা সাভার পৌর ভাগলপুর এলাকার জে কে গার্মেন্টসের শ্রমিক। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী তিন যুবকের বন্ধু শামীম খান বলেন, তুষার, রাসেল, স্বপন কারখানার ডিউটি শেষে আমরা তারাপুর মাঠে বসে গল্প করছিলাম।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাদা রঙের একটি হাইচ গাড়ি যোগে ৫/৬ জন লোক সাদা পোশাকে এসে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তিনজনকে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে বিষয়টি ওদের পরিবারকে জানাই এবং আমরা ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি কার্যালয়ে ও সাভার মডেল থানায় একাধিক বার যোগাযোগ করি।

ডিবি কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয় তুষার, রাসেল, স্বপন নামে কাউকেই তুলে আনা হয়নি। ঘটনার পর থেকে তিনজনের মোবাইল নাম্বারই খোলা রয়েছে। কল করা হলে রিং হচ্ছে কিন্তু রিসিভ করছে না।

ভুক্তভোগী স্বপন মিয়ার বড় ভাই হাকিম মিয়া বলেন, আমার ছোট ভাইকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে শুনে আমি সঙ্গে সঙ্গেই সাভার ডিবি অফিসে যাই। কিন্তু ওখান থেকে জানানো হয় তারা কাউকেই তুলে আনেনি। আমার ভাই সাধারণ একজন পোশাক কারখানার শ্রমিক। ও কোনো ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। বুঝতে পারছি না ওকে ডিবি পুলিশ তুলি নিয়েছে না কি অপহরণকারীরা অপহরণ করেছে। ওর মোবাইল নাম্বারটি খোলা রয়েছে কিন্তু কল করা হলে রিসিভ করেছে না। খুব চিন্তায় আছি। সাভার থানায় জিডি করে ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও ডিউটি অফিসার আব্দুর রহিম রাজু বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কয়েকজন লোক পোশাক শ্রমিককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ মৌখিকভাবে আমাদের জানান। তাদের একটি জিডি ফাইল করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন বিল্পব বলেন, তুষার, রাসেল, স্বপন নামে কাউকেই আমাদের কার্যালয়ে তুলে আনা হয়নি। ওই তিনজনের স্বজনরা আমাদের কাছে এসেছিলেন। তাদেরকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।