মাদক সেবনের অভিযোগে জাবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

আবাসিক হলের কক্ষে মাদক সেবনের অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র মো. সাজ্জাদ হোসেন (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ৪২ তম ব্যাচ)) এবং আল বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র মো. মইন উদ্দিন (বাংলা, ৩৯ তম ব্যাচ)।

গত ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেটের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বহিষ্কারের এ সুপারিশ করা হয়েছে।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের ৩৩৫ নং কক্ষে মাদক সেবনের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে সিন্ডিকেটের তারিখ (১৮/০১/২০১৯) থেকে ছয় মাসের জন্য অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে উল্লিখিত ছয় মাসের জন্য তাদের ক্লাস-পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞাসহ আবাসিক হলে সিট বাতিলের জন্য বলা হয়েছে।

এ ছাড়া সিন্ডিকেটে মাদক সেবন ও মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আট শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। সতর্কীকৃত আট শিক্ষার্থী হলেন- সৌমিত্র সাহা পার্থ (সিএসই, ৪২ তম ব্যাচ), নিগার সুলতানা তৃষ্ণা (সরকার ও রাজনীতি, ৪২ তম ব্যাচ), পূজা বিশ্বাস (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ৪০ তম ব্যাচ), এথিনা অররা তীর্থ  (লোকপ্রশাসন, ৪২ তম ব্যাচ), কুররাতুল আইন রাফিয়া (ইংরেজি, ৪২ তম ব্যাচ), মাহমুদা আক্তার (চারুকলা, ৪২ তম ব্যাচ), শাদমান রাব্বি অন্তর (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব, ৪২ তম ব্যাচ) ও শাওন কৈরী (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ৪০ তম ব্যাচ)। এদের মধ্যে সৌমিত্র সাহা পার্থ জাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি।

এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, 'দুই বছর আগের ঘটনায় প্রশাসন হঠাৎ কেনো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অস্পষ্ট। এ বিষয়ে আমাদের সাংগঠনিক কোনো বক্তব্য নেই'।  

বহিষ্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। অতিদ্রুত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন উল্লেখিত বিভাগ ও হলে প্রেরণ করে শাস্তি কার্যকরের ব্যবস্থা করা হবে।