মানিকগঞ্জে শ্রমিকের হাতে শ্রমিক নিহত

মানিকগঞ্জে কাজ করতে এসে গাঁজা সেবন করাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকের হাতের আরেক শ্রমিক আজিদ প্রামানিক (৬১) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১৫ ঘণ্টার মধ্যে মামলার আসামি শ্রমিক সোহেল রানা (২৮) কে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।

সোমবার (২৯ মে) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সুপারের কর্যালয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। আসামি মোহেল রানার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। সে এই গ্রামের মাজদার আলীর ছেলে। নিহত আজিদ এর বাড়ি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার লালোর গ্রামে। সে এই গ্রামের আব্দুল কাদের প্রামানিকের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, আসামি সোহেল রানা বিগত ২২ মে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসেন দিন মুজুরি কাজের জন্য। এখানেই আজিদ প্রামানিক এরসঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরের দিন ২৩ মে জেলার হরিরামপুর উপজেলার হেলাচিয়া গ্রামের লাভলু মিয়া কৃষি কাজের জন্য তাদের দুই জনকে ৫শ টাকা রোজে নিয়ে যান। তারা বিভিন্ন কৃষি কাজ করতে থাকেন সেখানে। গতকাল ২৮মে তার দুইজন দুপুরের দিকে ধানের খড় শুকানোর জন্য বেড় হন।

পাশের গ্রামের নারীকাটি গ্রামে লাভলু মিয়ার খেতে। সেখানে কিছুক্ষণ ধানের খড় বাঁশের কারাইল দিয়ে উলট পালট করার সময় দুই জনের সঙ্গে একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কাজের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় এক পর্যায়ে কারাইল দিয়ে সোহেল রানা আজিদ প্রামানিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটাইয়া রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যায় আজিদ প্রামানিক।

তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে নিহতের বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামি সোহেল রানাকে তার বসতবাড়ি হইতে বাঘা থানার পুলিশের সহায়তায় আজ (২৯ মে) সোমবার ভোর ৪টার দিকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনের পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে মেইলের মাধ্যেমে এক প্রেস-বিজ্ঞপ্তিতিতে জানন, শ্রমিক আজিদ প্রামানিক ও সোহেল রানা তার ঘটনাস্থলে কিছুখন ধানের ঘড় উলট-পালট করার পরে এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে গাঁজা সেবন করার বিষয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সোহেল রানা তার হাতে থাকা খড় নাড়ার কারাইল দিয়ে আজিদকে পিটালে ঘটনাস্থলেই মারাযায় সে।