• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ধামরাইয়ে নকল সরবরাহে কেন্দ্র সচিবের লাখ টাকা জরিমানা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ঢাকার ধামরাইয়ে অসদুপায় অবলম্বন করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের দায়ে কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের সাজা প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত যাদবপুর এসএসসি ভুবন মোহন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বিএম) পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মো. আলী হায়দারকে এ জরিমানা ও সাজা করা হয়েছে বলে বলে জানা। ওই কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলেও জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ভুবন মোহন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বিএম) এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও প্রতিষ্ঠান প্রধান মো. আলী হায়দার চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ হাতিয়ে নিয়ে নকল সরবরাহ পরীক্ষা হলে ভুয়া পরিদর্শন করেছেন।

পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ওই কেন্দ্র সচিব। পরে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদের দফতরে লিখিতভাবে ওই কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ধামরাই উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. শামীমমুর রহমান শামীম।

অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, আছিমুর সেলিম মডেল স্কুলের শিক্ষক মো. শরীফুল ইসলাম শরীফ ও গোহাইলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শরীফুল ইসলাম নামে দুই ভুয়া হল পরিদর্শক নিয়োগ দিয়েছেন। ওই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাদরকে চেনেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ গতকাল বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে কেন্দ্র সচিব মো. আলী হায়দারকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব ও বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ও কলেজের প্রধান মো. আলী হায়দার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে দুজন গার্ডকে ভুয়া বলা হচ্ছে মূলত তারা অন্য স্কুলের শিক্ষক। প্রথমে ওই দুই শিক্ষকের নাম লেখা হয়েছিল। পরবর্তীতের নাম পরিবর্তন করা হলেও তাদের হল পরিদর্শকের তালিকায় রয়েই গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি অভিযোগই তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।