• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সেতু আছে সড়ক নেই

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। তবে সেতু নির্মাণের দেড় বছরেও তৈরি হয়নি সেতুর দুইপাশে চলাচলের রাস্তা। এতে সেতুর সুবিধা পাচ্ছেন না টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটি এখন এলাকাবাসীর কাছে মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুরের নোয়াই নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলোকদিয়া, আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা ও ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া, সিংদাইর, খাগুরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর কয়েক হাজার মানুষের উপজেলার সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক ব্যবস্থা এটি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার মান উন্নয়নের চেষ্টা চললেও এই গ্রামগুলো ছিল উন্নয়নবঞ্চিত। এর ফলে উন্নয়নবঞ্চিত গ্রামগুলোতে বসবাসরত মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিতে পরিণত হয় টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুর উপজেলার ভালকুটিয়া পাকার মাথা থেকে একটি পাকা সড়কসহ নোয়াই নদীর ওপর একটি সেতু  নির্মাণ।

২০১৭ সালে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নোয়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলেও তৈরি হয়নি পারাপারের সংযোগ সড়ক। দেড় বছরেও সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় স্থানীয়দের কোনো কাজে আসছে না এটি। এছাড়াও সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় পায়ে হাঁটার পথটিও বর্ষার ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকায় সমস্যাটি এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভালকুটিয়া থেকে আলোকদিয়া যাতায়াতে নোয়াই নদীর ওপর ৭২.৬ মিটার সেতুটি নির্মাণের কাজ পান মের্সাস দাস ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় এক বছর পর ২০১৭ সালে ওই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সেতু নির্মাণের পর দুই পাশে সংযোগ সড়ক তৈরির জন্য ২০০ মিটার করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাটের কাজ শেষ করেনি।

স্থানীয় চন্দনা আক্তার নামে এক গৃহিণী বলেন, আমাদের জীবনযাত্রা মান উন্নয়নের নামে চলছে নাটক। এ সেতু নির্মাণের আগে নৌকায় যেভাবে নদী পাড় হয়েছি এখনও সড়ক ব্যবস্থা না হওয়ায় একইভাবে পারাপার হচ্ছি।

নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আলম হোসেন জানান, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ গ্রামবাসীর প্রাণের দাবি ছিল নদীর ওপর সেতু নির্মাণ। সেতু নির্মাণের সেই দাবি পূরণ হলেও পারাপারের সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। এর ফলে স্থানীয় রোগী, শিক্ষার্থী আর ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা চরম দুর্ভোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ

নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহীনুর আলম বলেন, মামলা জটিলতার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা নতুন করে মাটি ভরাটের টেন্ডার আহ্বান করবো। এছাড়াও ভালকুটিয়া পাকা সড়কে মাথা থেকে সেতু পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণের জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাব পাঠিয়েছি।