• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মির্জাপুরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দুপুরে বাবুল আকতার নামে জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক ডাক্তার মির্জাপুর সদরের জনপ্রিয় ভাণ্ডারের মালিককে এই হয়রানি করে বলে জানা গেছে। এদিকে এই ঘটনায় মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, জামুর্কীস্থ মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার বাবুল আকতার সদরের কালী বাড়ি রোডের জনপ্রিয় ভাণ্ডার থেকে পাঁচ কেজি ২৯ জাতের চাল কিনেন। এই চালের ভাত খেয়ে পরিবারের লোকজনের বমি করেছে মর্মে অভিযোগ এনে জনপ্রিয় ভাণ্ডারের মালিক গোপী সাহার ছোট ভাই বিশ্বজিৎ সাহাকে ডাক্তার বাবুল আকতার বলেন, আপনার দোকান থেকে যে চাল নিয়েছি তা প্লাস্টিকের চাল।

এ কথা বলার পর তিনি মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, মির্জাপুর থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানেটারি ইনস্পেক্টরকে ফোনে খবর দেন। পরে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানোর পর দোকানের ২৯ জাতের সমস্ত চাল পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সেখানে কোন প্লাস্টিকের চাল মেলেনি।

অবশেষে ভ্রাম্যমান টিম খাদ্য অধিদপ্তরের গোদামের কর্মকর্তাদের দিয়ে ওই চাল পরীক্ষা করানো হয়। এতে ২৯ জাতের চালগুলো ভালো মানের বলে প্রমাণিত হয়।

এদিকে দোকানটিতে প্লাস্টিকের চাল থাকার অভিযোগে যখন অভিযান চালানো হয় তখন মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে দোকান বন্ধ করে চলে যান।

জনপ্রিয় ভাণ্ডার ও চিত্রা পেপার হাউজের মালিক গোপীনাথ সাহা বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের রীতিমত হয়রানী করেছেন ডাক্তার বাবুল আকতার। এর নায্য বিচার চাই।

মির্জাপুর বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকী বলেন, মিথ্যা অভিযোগ করে ব্যবসায়িকে হয়রানি করার বিষয়ে ওই ডাক্তারকে বণিক সমিতির পক্ষ থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। উপযুক্ত বিচার না পেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বিচারের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ডাক্তার বাবুল আকতারের সঙ্গে কথা হলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ওই দোকানের চালের ভাত খেয়ে বমি হয়েছিল। ভোক্তা হিসেবে আমি অভিযোগ করতেই পারি। তবে প্লাস্টিকের চাল প্রমাণিত হয়নি বলেও তিনি জানান।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুল হক বলেন, দোকানটিতে প্লাস্টিকের চাল আছে এরকম বিন্দুমাত্র সত্যতা পাওয়া যায়নি।