• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

গাজীপুরের টঙ্গীতে সাদ অনুসারীদের ইজতেমার সার্বিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

গতকাল সোমবার জোহরের নামাজের আগে তিনি ময়দানে আসেন। এ সময় তিনি তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ঘুরে দেখেন এবং শীর্ষ মুরব্বিদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী আগামী বছর দুই গ্রুপকে ঐক্যবদ্ধ করে ইজতেমা আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে টঙ্গীর ময়দানে আগের মতো ইজতেমা করতে পারি সেজন্য আল্লাহর কাছে তওফিক কামনা করি।

সোমবার বাদ ফজর দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা মুরছালিন বয়ান করেন। আর বয়ানের অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর। সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্দেশে বয়ান করেন ইকবাল হাফিজ ও এলাহাবাদের শাহেদ।

এছাড়া খাওয়াছদের (ভিআইপি) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মুফতি সাজিদ। বধিরদের উদ্দেশে বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মুরুব্বি মাওলানা ওমর মেওয়াতি। আরবি খিত্তায় বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর এবং ইংরেজি খিত্তায় বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মুরুব্বি প্রফেসর লিয়াকত।

এছাড়া মালশিয় খিত্তায় বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মুফতী শাহজাদ ও মুফতি রিয়াছত। উর্দু খিত্তায় বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা শওকত। রাশিয়া খিত্তায় বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের প্রফেসর নওশাদ, চায়না খিত্তায় বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা আসাদ।

এবার ৫ দিন ব্যাপী ইজতেমার প্রথম দুইদিন জোবায়ের অনুসারীরা ইজতেমায় অংশ নেন। শনিবার আখেরী মোনাজারে মধ্যদিয়ে শেষ হয় তাদের ইজতেমা । আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ তারিখ সকালে সাদপন্থি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করেন। পরে তাদের আবেদনে একদিন সময় বাড়িয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি করে প্রশাসন।

 

 

 

বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে মানুষের আসার সুবিধার্থে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সোমবার মধ্যরাত থেকে আব্দুল্লাহপুর থেকে ভোগড়া বাইপাস এবং মীরের বাজার থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত উভয়মুখী মহাসড়কে সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি ডিবি মিডিয়া ড. রুহুল আমিন সরকার।