• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খালটি এখন ভাগাড়

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

মানিকগঞ্জ শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত একমাত্র খালটি পরিণত হয়েছে ময়লার  ভাগাড়ে। এর সঙ্গে আছে দখলদূষণ সব মিলিয়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ খাল। শহরের পয়োনিষ্কাশন ও নৌ-যোগাযোগের জন্য ব্রিটিশ আমলে খালটি খনন করা হয়েছিল। এর দুই  দিক সংযুক্ত হয়েছে কালিগঙ্গা নদীতে। দেখভাল ও সংস্কারের অভাবে এখন খালটি কোনো কাজেই আসছে না। স্থানীয়রা জানান, এই খাল মানিকগঞ্জের ঐতিহ্য। এটি বৃদ্ধি করেছে শহরের সৌন্দর্য। খালটির দক্ষিণ পাশে রয়েছে সরকারি মহিলা কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, আদালত ভবন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবন। উত্তর দিকে গড়ে উঠেছে সদর থানা, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ, খামার বাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। দেখে বোঝার উপায় নেই এক সময় এই খালে প্রতিবছর নৌকাবাইচ হতো। ব্যবসা-বাণিজ্যর জন্য বড় বড় নৌকা চলতো এ খাল দিয়ে। বরং দখলদূষণে খালটি এখন শহরবাসীর গলার কাঁটা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসার মতো অবস্থা নেই। দুর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে থাকতে হয়। প্রতিদিন বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্তোঁরার বর্জ্য খালে ফেলার কারণে এই বেহাল দশা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ২০০৮ সালে ছয় কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হয় খালটির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে। দক্ষিণ তীর দিয়ে  তৈরি  করা হয় ওয়াকওয়ে। ওয়াকওয়ের বেশির ভাগ এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। শহর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুদ্দিন রেজা জানান, ব্যবসায়ীদের চেয়ে ভবনমালিকরা খালে বেশি আবর্জনা ফেলছে। কোনো ব্যবসায়ী যাতে খালে আর ময়লা-আবর্জনা  না ফেলে সে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জেলা উদীচীর সাবেক সভাপতি ওয়াজেদ আলম লাভলু বলেন, নিজেদের স্বার্থে খালটি সংস্কার করা জরুরি। পৌরমেয়র মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, খালটি দখলমুক্ত করে নান্দনিক করা হবে। কেউ যাতে এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে না পারে, নেওয়া হবে সে ব্যবস্থাও।