• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বই আছে পাঠক নাই!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮  

বাসাইল প্রতিনিধিঃ 
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগারটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে, কর্তৃপক্ষের নেই নজরদারি। একমাত্র পাঠাগারটি বন্ধ থাকায় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী।
অযত্ন ও অবহেলায়  ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লাখ লাখ টাকার বই। আসবাবপত্রও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এটি এখন উপজেলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের শয়নকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।   
এদিকে, পাঠাগারটি কতো সালে প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালনা কমিটিতে কারা সম্পৃক্ত এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। পদাধিকারবলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকেন বলে জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা। তবে খুব দ্রুত পাঠাগারটি চালু করার কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না। 
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের পাশে দোতলা ভবনের ছোট একটি কক্ষে এই পাঠাগারের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে স্থানীয় পাঠকদের জ্ঞানচর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয় পাঠাগারটি। পাঠক সমাদৃত পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার দুই-এক বছর পর রহস্যজনক কারণে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি পাঠাগারটিতে উপজেলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে বসবাসের জন্য দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলায় কর্মরত এক কর্তকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলায় কর্মরত আছি। কোনোদিন এই পাঠাগার খুলতে দেখিনি। 
বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পাঠাগারটি বন্ধ থাকায় পাঠাগারের সকল প্রকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। উপজেলার একমাত্র পাঠাগারটি পুনরায় চালু করা অতি  জরুরি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই পাঠাগারটি বন্ধ রয়েছে। এটি পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা আছে।