• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গ্রাম পুলিশসহ আহত ১৫

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৯  

ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শনিবার দুপুরে এক ছাত্রকে মারপিটের ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গ্রাম পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলো, উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চরডাউটিয়া গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে সাগর আলী (১৯), বাদে গাওয়াইল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নাহিদ (১৯), শাহিনুর রহমানের ছেলে শিপন (১৯), আবদুল হালিমের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২২)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুয়াপুর-নান্নার উচ্চ বিদ্যালয়ে।

পুলিশ ও শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, কিছুদিন পূর্বে নান্নারে গ্রামীণ মেলায় একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সূয়াপুর নান্নার হাইস্কুলের ভিতর স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আলামীনসহ তিনজন ছাত্রের সঙ্গে আরেকটি মারামারির ঘটনা ঘটে নান্নার গ্রামের নিয়ামত আলী গংদের। শনিবার সকালে আলামীন স্কুলে আসার পথে স্কুলের দক্ষিণ পাশে নিয়ামত আলীর নেতৃত্বে ৬টি মোটরসাইকেলে ১৯ জন সন্ত্রাসী আলামীনকে ঘেরাও করে হকিস্টিক দিয়ে পেটাতে থাকে। এসময় স্কুলের শিক্ষক ফজলুল হক থামাতে গেলে তাকেও মারপিট করে সড়ক থেকে প্রায় ১২ ফুট নিচে ফেলে দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দেয়। এসময় তিনটি মোটরসাইকেলসহ চারজনকে আটক করে। এরমধ্যে আহত একজনকে স্থানীয় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়ার সময় সেখানেও ভাংচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ওই সময় আহত সন্ত্রাসীকে ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়ার সময় স্থানীয় গ্রামপুলিশ মনির হোসেন ও ফজল হোসেনকে মারপিট করে কুটিরচর গ্রামের প্রভাবশালী মহিউদ্দিনের ছেলে জুয়েল। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং জনরোষ থেকে চারজনকে উদ্ধার করে