• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সাভারে এসসিএমপিসিআর`র কর্মশালা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৯  

ঢাকার সাভারে 'সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ' (এসসিএমপিসিআর) এর উদ্যোগে ও স্কয়ার হাসপাতাল ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল অ্যান্ড বায়োমেডিক্যালল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়েছে শনিবার।

এসসিএমপিসিআর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়ার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে গত ৭ মার্চ সাভারের থানা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত এসসিএমপিসিআর এর নিজস্ব অফিসে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন এসসিএমপিসিআর প্রধান নির্বাহী পরিচালক ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও গাণিতিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. হাসিন অনুপমা আজহারী। এই কর্মশালায় আরো অংশ নেন আইবিএ তাইওয়ান থেকে এশিয়ার দায়িত্বে থাকা প্রশিক্ষক স্যাম চেন, আইবিএ ভারতের প্রধান চিংগুয়ে লি ও এস. রাজামানিকাম।

কমিশনিং অব লিনাক এক্সিলারেটর বেসিক অ্যান্ড ডভান্স ট্রিটমেন্ট টেকনিক শিরোনামে এই কর্মশালাটি যথাক্রমে এসসিএমপিসিআর ট্রেনিং সেন্টার ও স্কয়ার হাসপাতালে অনুষ্টিত হয়।
এই কর্মশালায় শ্রীলঙ্কা, ভারত ও নেপাল থেকে আসা ২২ জন চিকিৎসা পদার্থবিদ, শিক্ষার্থী, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসা পদার্থবিদদের নগরীর স্কয়ার হাসপাতালে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তিনদিনের কর্মশালা শেষ হয় শনিবার এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এই সময় প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।

এ সময় প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়া দক্ষিণ এশিয়ায় মেডিক্যাল ফিজিক্স ও ক্যান্সার চিকিৎসার প্রসারতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, দেশে ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে এবং ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন দেশে আসছে। কিন্তু সেই মেশিনগুলো পরিচালনার জন্য যথেষ্ট দক্ষ জনবল দেশে এখনও তৈরি হয়নি। তাই দেশে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ‘এসসিএমপিসিআর সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ’ সংস্থাটি ২০১৮ সাল থেকে ক্যান্সার চিকিৎসার দক্ষ জনশক্তি উৎপাদন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বৃদ্ধি ও ক্যান্সারের রোগীদের পরামর্শ সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করেছে।

সংস্থাটি জার্মান প্রবাসী চিকিৎসা পদার্থবিদ ড. গোলাম আবু জাকারিয়া ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরিচালিত হয় আলো ভুবন ট্রাস্টের মাধ্যমে।