• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কোটি টাকা হাতিয়ে শ্রমিক সরদার চক্র পলাতক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮  

শ্রমিক সরবরাহ না করে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেছে ইটভাটার শ্রমিক সরদার  আফসার আলী।
ধামরাই উপজেলার কয়েকটি ইট ভাটার মালিকদের কাছে শ্রমিক সরবরাহের চুক্তি করে অগ্রিম টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। ভরা মৌসুমে শ্রমিক না পেয়ে দিশেহারা ভাটার মালিকরা। 
জানা যায়, প্রতিবছর  ইট ভাটার জন্য শ্রমিক রপ্তানি করে থাকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারী গ্রামের সরদার  আফসার আলী, এবারো প্রায় শতাধিক ভাটা থেকে আগাম টাকা নিয়ে শ্রমিক না দিয়েই পালিয়ে যান। 
সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী ও রংপুর জেলা থেকে শ্রমিক আনার কথা থাকলেও শ্রমিকের অভাবে এবার ইট ভাটার কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। জানা যায়  এক একটি ভাটায় প্রতিবছর নব্বই থেকে এক’শ জন শ্রমিকের প্রয়োজন পরে। এক বছর আগেই চুক্তি করতে হয়।    
ইটভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শ্রমিক সরবরাহ না করেই ধামরাইয়ের শতাধিক ইটভাটা থেকে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে শ্রমিক সরদার। 
ধামরাইয়ের জয়পুরার কে বি সি ইটভাটার মালিক আবুল হোসেন জানান, তার ভাটায় এ বছর শ্রমিক সরবরাহ করার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা অগ্রিম নেয় কিন্তু শ্রমিক সরবরাহ না করেই সে উধাও হয়ে গেছে। এ নিয়ে শনিবার ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
একই কায়দায় ধামরাইয়ের এ বি সি ভাটার মালিক খোকা মিয়ার কাছ থেকে ৮ লাখ, আমতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের কাছ থেকে ৪ লাখ, কান্দাপাড়া জয়বাংলা ইটভাটার মালিক হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ৪ লাখ এবং মাহি ইট ভাটার মালিক সোলায়মান হোসেনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েছে নীলফামারীর ডোমার থানার শ্রমিক সরদার সুলতান হোসেন।   আর কে এফ ভাটার মালিক ফারুক হোসেনের কাছ থেকে রাজবাড়ীর পাংশা থানার খোকসা গ্রামের আকবর আলী নামে আরেক সরদার ৬ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে। 
ধামরাই উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, শ্রমিক সরদার চক্র শ্রমিক সরবরাহ না করে প্রায় ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এতে তারা বড় ধরণের লোকসানের আশঙ্কা করছেন।