• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

জলকেলিতে মেতেছে অপরূপ রাঙামাটি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০১৯  

পাহাড়-হ্রদ আর অরণ্যের শহর রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ের বর্ষ বিদায় এবং বর্ষবরণের মহান উৎসব ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীদের প্রাণের উৎসব বৈসাবি। প্রতিবছর বৈসাবি উৎসব আসে আর পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণের ছোঁয়া। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। আর তাই প্রতিবছরই অতীতের সব দুঃখ ভুলে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সাজ সাজ রব উঠে পাহাড়জুড়ে।

মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জল উৎসবের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সপ্তাহব্যাপী বৈসাবি উৎসবের সমাপ্তি হয়েছে গতকাল। মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা একে-অন্যকে পানি ছিটিয়ে পুরাতন বছরের দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে জল উৎসবে মেতে উঠে। মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার (মাসস) কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার নারানগিরি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংগ্রাই জল উৎসবের উদ্বোধন করেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময় স্থানীয় সংসদ পার্বত্য জেলার উন্নয়নের জন্যে বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টা বাজিয়ে উদ্বোধন করা হয় জল উৎসবের। এরপর মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একে অন্যকে জল ছিটিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। জল উৎসবের পাশাপাশি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংগ্রাই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জল উৎসব দেখার জন্য হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর উৎসবস্থলে সমবেত হন। দূর-দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকসহ এক মিলনমেলায় পরিণত হয় এই উৎসব।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবিকে কেন্দ্র করে মারমারা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এ জল উৎসব করে থাকে। জনশ্রুতিতে রয়েছে, এ জল উৎসবের মাধ্যমে মারমা তরুণ-তরুণীরা তাদের প্রিয় মানুষটিকে বেছে নেয়ার সুযোগ পায়