• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

টাঙ্গাইলে অতিরিক্ত বাস ভাড়ায় দিশেহারা যাত্রীরা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ জুন ২০১৯  

টাঙ্গাইলে বাস ভাড়া বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা। ঈদযাত্রার শেষ দিন ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের তীব্র যানজটে এ জেলার ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির রেশ কাটতে না কাটতেই মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত বাস ভাড়া। তাই ভাড়া বৃদ্ধির প্রবণতামুক্ত পরিবহন আইনের দাবি তুলেছেন যাত্রীরা।

তবে বাস মালিকদের দাবি ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি করা হলেও যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধায় অন্যান্য বারের তুলনায় পর্যাপ্ত বাস রয়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা ভাড়া কিছুটা বেশি দিলেও ঢাকা থেকে ওই বাসগুলোই টাঙ্গাইল ফিরছে সম্পূর্ণ যাত্রীশূণ্য হয়ে।

বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির বাস সংখ্যা ৮ শতাধিক। এর মধ্যে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে টাঙ্গাইল এবং টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা এ সড়কে চলাচলরত এসি বাসের সংখ্যা ১২টি। এছাড়াও সরাসরি নন এসি বাস সার্ভিসের মধ্যে নিরালা সুপার সার্ভিসের বাস সংখ্যা ৫৩টি, ধলেশ্বরী বাসের সংখ্যা ৫৬টি আর ঝটিকা বাসের সংখ্যা ১৪টি। এর মধ্যে সোনিয়া আর সকাল-সন্ধ্যা নামে দুটি এসি বাস সার্ভিসের গাড়ির নির্ধারিত ভাড়া ২৫০ টাকা, নিরালা সুপার সার্ভিসের ভাড়া ১৬০ টাকা, ধলেশ্বরী ১৩০ ও ঝটিকা সার্ভিসের ভাড়া ১৩০ টাকা।

Tangail-Buss

ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইল। প্রায় ৪০ লাখ মানুষের আবাসস্থল এই জেলায়। এ জেলার উল্লেখযোগ্য মানুষ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাকরি অথবা ব্যবসা করেন। সারাবছর পরিবারের পাশে থাকতে না পারলেও বছরের দুই ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরেন জেলার কর্মজীবী মানুষগুলো। তবে প্রতি ঈদেই এভাবে বাসভাড়া বৃদ্ধি পেলে চরম হয়রানির শিকার হন তারা।

ক্ষুব্ধ এক যাত্রী সুমন মিয়ার অভিযোগ, এসি বাস সার্ভিস সোনিয়া ও সকাল-সন্ধ্যার ২৫০ টাকার ভাড়া যাত্রীদের বেকায়দায় ফেলে আদায় করছে ৪০০ টাকা। তবে এই অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি সত্ত্বেও নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।

Tangail-Buss

মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন জানান, অন্যান্য জেলার মতো টাঙ্গাইলে বাসভাড়া বৃদ্ধি পায়নি। এসি সার্ভিসে ১৫০ ও নন এসি সার্ভিসের নিরালা সুপারে ৯০, ধলেশ্বরী সার্ভিসে ৭০ আর ঝটিকায় বেড়েছে মাত্র ২০ টাকা। তবে এ ভাড়া বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে তার দাবি টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী এই বাসগুলো বেশি ভাড়ায় গেলেও ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে ফিরছে সম্পূর্ণ যাত্রীশূন্য হয়ে। একটু বেশি ভাড়া যদি বাস যাত্রীরা না দেন, তাহলে দেখা যাবে ঢাকা-টাঙ্গাইলের যাত্রীরা বাস সঙ্কটে পড়বেন।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ভাড়া বৃদ্ধি না করার জন্য মালিক ও শ্রমিক সমিতিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সত্ত্বেও যদি ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রী হয়রানি চালানো হয় তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।