• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

একনজরে খাদ্যমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০১৯  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরঙ্কুশ জয়ের পর শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় বেশকিছু চমক এসেছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে উত্তরের জেলা নওগাঁর সাধন চন্দ্র মজুমদারকে খাদ্যমন্ত্রী করা।

সাধন চন্দ্র মজুমদারের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কৃষি পরিবারে। নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পারিবারিক সূত্রেই তিনি ধান-চালের ব্যবসায় জড়িত।

নওগাঁর আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, তাকে খাদ্যমন্ত্রী করে শেখ হাসিনা বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন।

জেলার প্রবীণ নেতা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলে বলেন, সাধন চন্দ্র মজুমদার কৃষক পরিবারেই বেড়ে উঠেছেন এবং তিনি নিজেও কৃষি পেশায় নিয়োজিত।

‌‌‘কাজের উপযুক্ত ক্ষেত্র তিনি পেয়েছেন। তার হাত ধরে শুধু নওগাঁ নয়, সারা দেশে কৃষি ও কৃষকের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর বলদাহাট গ্রামের প্রয়াত কামিনী কুমার মজুমদার ও সাবিত্রী বালা মজুমদারের ঘরের জন্ম সাধনের। নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম।

৬৮ বছর বয়সী সাধনের স্ত্রী চন্দনা মজুমদার মারা গেছেন ১৯৯২ সালে। তিনি চার মেয়ের বাবা।

এখন নওগাঁ শহরের পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতেও বসবাস করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেখানেই তাদের পারিবারিক চালের আড়ত রয়েছে।

১৯৫০ সালের ১৭ জুলাই জন্ম নেওয়া সাধন নওগাঁ ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ (স্নাতক) পাশ করার পর বাপ-দাদার পেশা কৃষি ও ধান-চালের ব্যবসা শুরু করেন।

ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সাধন স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থাকার পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

নিজের ইউনিয়ন হাজীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাধনের যাত্রা শুরু হয়।

এরপর আশির দশকে এরশাদ আমলে আওয়ামী লীগের সমর্থনেই নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

পরে কয়েক দফায় নওগাঁ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সংসদে আসেন সাধন।

পরে ২০১৪ সালের দশম সংসদ ও গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের নির্বাচিত হন তিনি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংসদ হওয়ার পর ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চল হিসাবে পরিচিত নিয়ামতপুর-সাপাহার ও পোরশা এলাকায় বৃক্ষরোপনে জোর দেন।

পাশাপাশি রাস্তা-ঘাঁট, ব্রিজ-কালর্ভাট, স্কুল-কলেজ মাদ্রাসাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে এলাকায় প্রশংসিত হন তিনি। এলাকার মানুষের কাছে ভদ্র, বিনয়ী ও মিষ্ঠ ভাষী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার।