• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

সরকার মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে :প্রধানমন্ত্

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত কৃষিবান্ধব নীতি ও কার্যক্রমের ফলে দানাদার খাদ্য, মাছ, মাংস ও ডিম উত্পাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুধ উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে।’ সরকার মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। আজ ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে পাট ও কাঁঠাল উত্পাদনে দ্বিতীয়, ধান ও সবজি উত্পাদনে তৃতীয়, আম ও আলু উত্পাদনে সপ্তম, পেয়ারা উত্পাদনে অষ্টম, অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ে মত্স্য উত্পাদনে তৃতীয় এবং বদ্ধ জলাশয়ে মত্স্য উত্পাদনে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে আমাদের মোট খাদ্যশস্য উত্পাদন বেড়ে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য দেশের মতো কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য—‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যত্। ভালো উত্পাদনে ভালো পুষ্টি আর ভালো পরিবেশেই উত্তম জীবন।’ করোনাকালীন পরিবর্তিত সময়ে এই প্রতিপাদ্য যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১২ বছরে কৃষি উন্নয়নে কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প-২০৪১-এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮, নিরাপদ খাদ্য আইন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সহ উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কৃষির উন্নয়নে আমরা কৃষকদের জন্য সার, ডিজেল, বিদ্যুত্ ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং কৃষি প্রণোদনা/কৃষি পুনর্বাসন, কৃষিঋণ, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ই-কৃষির প্রবর্তন, জলবায়ু ও ঝুঁকি সহনশীল ফসলের জাত/প্রযুক্তি উদ্ভাবন ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছি। কৃষি শিক্ষা-গবেষণা খাতে বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করেছি। যার ধারাবাহিকতায় খোরপোশের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, এতে কৃষিনির্ভর শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।’ প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।