ব্লু ইকোনমি থেকে যেসব সম্পদ পায় বাংলাদেশ
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২
সমুদ্রে ও তলদেশে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ আহরণের নীতি নিয়েছে বাংলাদেশ যাকে বলা হয় ‘ব্লু ইকোনমি’ বা সমুদ্র সম্পদনির্ভর অর্থনীতি।সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বিরোধ মীমাংসার পর বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকার মালিকানা পেয়েছে বাংলাদেশ। তখন সরকার জানিয়েছিল, এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।
এই এলাকায় মৎস্য আহরণ ও সমুদ্রের তলদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন।
ফলে সমুদ্রে ও তলদেশে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ আহরণের নীতি নিয়েছে বাংলাদেশ যাকে বলা হয় ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পদ নির্ভর অর্থনীতি। কিন্তু বিশাল এই সমুদ্র এলাকা থেকে বাংলাদেশ কতটা সম্পদ আহরণ করতে পারছে?
বেশি আহরণ মাছ ও প্রাণিজ সম্পদ : ২০১৭-১৮ সালে বাংলাদেশে উৎপাদিত ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার টন মাছের মধ্যে সাড়ে ছয় লাখ টন মাছ এসেছে সমুদ্র থেকে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘সেভ আওয়ার সির তথ্য অনুসারে, প্রতি বছর বঙ্গোপসাগর থেকে ৮০ লাখ টন মাছ ধরা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের জেলেরা ধরতে পারছেন মাত্র সাত লাখ টন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী বলছেন, এখনো সমুদ্র থেকে মূলত মাছ এবং চিংড়ি বেশি ধরা হয়। কারণ খাবার হিসেবে বাংলাদেশীদের ভেতরে এগুলোর চাহিদাই বেশি। তবে ইদানীং অনেক জায়গায় অক্টোপাস, স্কুইড, ক্যাটলফিস, কাঁকড়া বা ঝিনুক খাওয়ার চল তৈরি হয়েছে।
অক্টোপাস, ক্যাটলফিস, কাঁকড়া বা স্কুইডের স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকলেও এগুলোও প্রচুর পরিমাণে ধরা হয়। কারণ এসব মাছ বিদেশে রফতানি হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে সি-উইড বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। তিনি জানান, বাংলাদেশের সমুদ্র থেকে মূলত লাক্ষা, রূপচাঁদা ও কালোচাঁদা, টুনা, ম্যাকারেল, লইটা, চ্যাপা, সামুদ্রিক রিটা, শাপলা পাতা মাছ, তাইল্লা, পোয়া, সুরমা, ইলিশ, ছুরি, ফাইস্যা, সামুদ্রিক বাইন ও কই মিলিয়ে ২০টির মতো বাণিজ্যিক আকারে মাছ ধরা হয়। কারণ এসব মাছের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা রয়েছে। সবমিলিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে খাদ্য হিসেবে দুই শ’ প্রজাতির মাছ ও চিংড়ি মিলিয়ে ৪০টির মতো মাছ নিয়মিত ধরে বাংলাদেশের জেলেরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ছাড়া কিছু মাছের দেশের ভেতরে তেমন চাহিদা না থাকলেও বিদেশে চাহিদা থাকায় ধরা হয়। যেমন- হাঙ্গর ধরা নিষিদ্ধ হলেও এটির পাখনার চাহিদা থাকায় গোপনে জেলেরা ধরে বিক্রি করে। কিন্তু ছোটবড় মিলিয়ে এত বেশি হাঙ্গর ধরা হয়েছে যে, হাঙ্গরের সংখ্যা এখন ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।
শৈবাল, শামুক ও ঝিনুক : মাছের বাইরেও বঙ্গোপসাগরের কিছু উদ্ভিদ এবং শামুক-ঝিনুকের চাহিদা রয়েছে দেশে ও বিদেশে।
অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী বলছেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে শামুক, ঝিনুকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বিদেশেও এটা রফতানি হয়। ফলে বাংলাদেশে এটি প্রচলিত একটি খাবার না হলেও সমুদ্র থেকে এটাও আহরণ করা হয়।
লবণ উৎপাদন : বাংলাদেশের জলসীমায় সমুদ্র থাকার বড় একটি সুবিধা হলো, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে লবণ উৎপাদন। উপকূলে সমুদ্রের পানি ধরে, রৌদ্র বা সৌরশক্তি ব্যবহার করে শুকিয়ে অপরিশোধিত লবণ আহরণ করা হয়। বর্তমানে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের এক লাখ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষ করা হয়। এই শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছেন ১৮ লাখের বেশি মানুষ।
গ্যাস ও খনিজ সম্পদ : বাংলাদেশের কর্মকর্তারা সমুদ্রসীমায় অনুসন্ধান করে সমুদ্রে ও তলদেশে গ্যাস-হাইড্রেট বা মিথেন গ্যাসের জমাট স্তরের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন। তাদের ধারণা, বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় ০.১১ থেকে ০.৬৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট সম্ভাব্য প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেট জমার অনুমান পাওয়া গেছে, যা ১৭-১০৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের সমান।
অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী বলছেন, সমুদ্রে তেল ও গ্যাস রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হলে সেটা দেশের জন্য ব্লু ইকোনমির আরেকটি বড় শক্তি হয়ে উঠবে। তেল গ্যাস ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে সালফার, মেটালিক মডিউল, কোবাল্ট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন কয়েক দিন আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দেশের মেরিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বপ্রকার সমুদ্রসম্পদ আহরণ, বাণিজ্যিক জাহাজ, জ্বালানি, পর্যটন ইত্যাদি ঘিরে কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে এবং এ জন্য ৯টি খাতকে সুনির্দিষ্ট করে কাজ চালাচ্ছে বাংলাদেশ।
- সিয়ামকে পরীমনি ‘এখন শুধু দারুণ দারুণ কাজ হবে’
- আবার তহবিল দেওয়া শুরু করবে জাপান
- অবৈধ জালসহ আটক ১৫৬
- দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
- মানিকগঞ্জ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- ফের হকারদের দখলে ফুটপাত
- ২০০০ রোজাদারকে ইফতার দিল বসুন্ধরা গ্রুপ
- বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ, পাওয়া গেল মৃত
- রাজউকের অভিযান, ২২ লাখ টাকা জরিমানা
- সিনেটর জো লিবারম্যান মারা গেছেন
- বরিশালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ
- মানিকগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- বিনিয়োগে আগ্রহী ইইউ
- ডিএনসিসি’র কার্যালয় স্থানান্তর
- আতশবাজি ফোটানো যাবে না নববর্ষে, নিষিদ্ধ ভুভুজেলা
- কোরিয়ার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
- আঁধারে বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি
- যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
- রিকশাওয়ালাদের নিয়ে গেম শো
- মধুসিটিতে স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান
- শাকিবের নতুন লুক
- পুলিশ সেজে ছিনতাই করতেন তারা
- চমক দেখাল ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের সিদ্ধান্ত
- নির্দেশনা ভেঙে সাভারের বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা
- ২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা বিতরণ
- স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে ফায়ার সার্ভিস
- বাবাকে হ*ত্যা*র অভিযোগ
- রিদর্শন বইয়ে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- কেরানীগঞ্জ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
- জাবিতে ৫ দাবিতে মশাল মিছিল
- ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ
- জাহাজসহ তাদের ফেরত আনাই প্রথম লক্ষ্য’
- তিন ভুয়া ডিবি পুলিশ গ্রেফতার
- সামিয়া হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন
- কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি
- আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীসমাজ এগিয়ে যাবে
- শিল্পী সাদি মহম্মদ আর নেই
- মানিকগঞ্জে ভূমি সচিবের মতবিনিময়
- শিক্ষকের বেত্রাঘাত, অভিমানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
- সাভারে আ‘লীগ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- লাশ ভেবে কেউ কাছে যাচ্ছিল না, পরে দেখা গেল...
- আগুনের শুরু ইলেকট্রিক কেটলি থেকে
- কেরানীগঞ্জের যানজটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
- প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাবি
- সিরাজ-জালালকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তামিম
- তাহসীন কুমিল্লার নতুন মেয়র
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় `বি` ইউনিটের ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ
- সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং,
- দুই দিন পর স্কুলছাত্রীর লাশ পাওয়া গেল নদীতে