• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দুর্নীতি বন্ধে সরকারের রণকৌশল চূড়ান্ত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৯  

নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। দুর্নীতিকে সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনাই টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। ৭ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকার সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে ‘দুর্নীতি’ ইস্যুকে। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, ‘বিগত দশ বছরে দেশে যে উন্নয়ন এবং অগ্রগতি হয়েছে, সেটাকে এগিয়ে নিতে দুর্নীতি বন্ধের বিকল্প নেই।’ একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী বলেছেন, ‘দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে উন্নয়নের সুফল জনগণ পাবে না। এ কারণেই দুর্নীতি এই সরকারের প্রধান টার্গেট।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের রণকৌশল চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে এবং ২৯ জানুয়ারি সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সংক্রান্ত রূপরেখা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। গত ১৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথম সচিবালয়ে অফিস করেন। সেখানেও তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বিরুদ্ধে তাঁর শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কথা জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ৫টি কৌশল নিয়ে এগুবেন। এগুলো হলো:

১. মন্ত্রী এবং সচিবদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। তারা যেন দুর্নীতিতে না জড়ান এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেন, সেজন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের উপর আনুষ্ঠানিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

২. তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সরকারী কাজে বেশি করে ব্যবহার করা। দেখা গেছে যতো বেশি সরকারি কাজে ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগ হবে ততো বেশি দুর্নীতি কমবে। ই-টেন্ডারিং, অফিস ফাইলের ডিজিটালইজেশনের ব্যবহার দুর্নীতিকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। নতুন সরকার ২০২০ সালের মধ্যে পুরো টেন্ডার ব্যবস্থাকে ই-টেন্ডারিং এর আওতায় আনতে চায়।

৩. দুর্নীতি বন্ধে সরকার বিকেন্দ্রীকরণের দিকে জোর দেবে। স্থানীয় সরকারগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণ এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমানো হবে। এটা দুর্নীতি কমাতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আওয়ামী লীগ সরকার মনে করছে। এজন্য জেলা বাজেট সহ স্থানীয় সরকার কাঠামোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

৪. প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যান তৈরী করা হবে। সৎ, নিষ্ঠাবানদের পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। এতে করে প্রশাসনে তরুণরা কর্ম উদ্যোগী হবে, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকবে।

৫. আর্থিক সেক্টরে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে। আর্থিক খাতে পেশাদারিত্বের মান বাড়ানো হবে।

এছাড়াও সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। সংসদ সদস্যরা যেন নিয়োগের জন্য তদবির ও সুপারিশ না করেন সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী এছাড়াও দুর্নীতি বন্ধে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা।