• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতিসংঘের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ ছড়াচ্ছে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৯  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পর নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে আখ্যায়িত করে উদ্ধৃতি দিয়েছিলো জাতিসংঘ। শুধু তাই নয় ৩ জানুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন,  নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য সকল দলকে ধন্যবাদ। কারণ তারা একত্রিত হয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিয়েছে।

অথচ জাতিসংঘের এমন প্রশংসার পরও কিছু স্বার্থান্বেষী গণমাধ্যম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করছে। এদিকে বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত।

এ আরাফাত বলেন, বিভিন্ন বেনামী নিউজ মিডিয়া বলছে জাতিসংঘ নাকি বলেছে ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ‘পারফেক্ট’ ছিল না। ইতিবাচক সমাধান পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহে অংশীদারদের অর্থপূর্ণ সংলাপ প্রয়োজন।’ বিভিন্ন বেনামী গণমাধ্যম জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্রের বরাতে সংবাদ প্রকাশ করলেও উক্ত মুখপাত্রের কোন নাম প্রকাশ করেনি।  এতে বোঝাই যাচ্ছে সংবাদটি একেবারে ভিত্তিহীন। অথচ যেখানে  জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক ইতিমধ্যে নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে আখ্যায়িত করেছেন। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে একটি রাজনৈতিক মহলের অবৈধ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বেনামী মিডিয়াগুলো বিশেষ মহলের পেইড এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। যার কারণেই এমন মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পর জাতিসংঘ এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে আখ্যায়িত করেছিলো।  নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিষয়টি মেনে নিতে আমাদের কষ্ট হয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন পারফেক্ট ছিলো না, এমন কোন মন্তব্য জাতিসংঘ করেছে কিনা তা আমাদের জানা নেই। আমরা আর যাই করি, অন্তত মিথ্যাচারকে সমর্থন দেব না।

বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, গুজব ছড়ানোর বিষয়টি নতুন কিছু নয়।  আমরা এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও এমন গুজবের সম্মুখীন হয়েছিলাম।  দেশের মানুষ এখন যথেষ্ট সচেতন। বাংলাদেশের মানুষ এসব গুজবে কান দেয় না। জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোন নেতিবাচক মন্তব্য করেনি। সুতরাং মিথ্যাচার ছড়িয়ে কোন লাভ হবে না। নির্বাচন যদি প্রশ্নবিদ্ধ হতো তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার বিদেশিদের এত অভিনন্দন পেত না। গুজবকারীদের অসৎ উদ্দেশ্য কোন দিন সফল হবে না।