• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

‘বাড়িতে চাষ করে সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯  

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, আগের মতো প্রত্যেক বাড়িতে দু-চারটি গাছ লাগালে পরিবারের সারা বছরের নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘এক সময় গ্রামের বাড়ি বড়ি এক ধরনের মরিচ ও বেগুন দেখা যেত, যা সারা বছর চাষ হতো। এখন আর তা দেখা যায় না।’ সেই মরিচ ও বেগুন ফিরিয়ে আনার জন্য কৃষি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) অডিটরিয়ামে চতুর্থবারের মতো জাতীয় সবজি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ অমিতাভ দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো. আব্দুর রৌফ।

sobji-mela

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হর্টিকালচার উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কৃষিবিদ শাহ মো. আকরামুল হক।

সমাপনী অনুষ্ঠানে শাক-সবজি চাষে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা ও মেলায় অংশ নেয়া স্টলগুলোর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার হিসেবে ছিল ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ টাকা।

জাতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সালে শাক-সবজি চাষে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যক্তি পর্যায়ে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মো. বদু মিয়া ও দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মো. হামিদুল ইসলাকে যৌথভাবে প্রথম পুরস্কার দেয়া হয়। দ্বিতীয় হয়েছেন পাবনার ঈশ্বরদীর মোছা. বেলী বেগম। তৃতীয় হয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সুরেশ্বর মল্লিক। বিশেষ পুরস্কার পান খাগড়াছড়ির মাটিরাংগা উপজেলার সফল প্রতিবন্ধী কৃষক মো. সফিউল বাশার।

এছাড়াও বাড়ির ছাদে শাক-সবজি চাষে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে ঢাকার মিরপুরের মো. আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদপুরের মো. হামিদুর রহমান ও যাত্রাবাড়ীর মো. সাইফুল ইসলামকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়।

sobji-mela

প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মেসার্স প্রবাস স্মৃতি এগ্রো ফার্মকে প্রথম ও নাটোর সদর উপজেলার দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নার্সারিকে দ্বিতীয় পুরস্কার দেয়া হয়। শাক-সবজি উৎপাদনে হেক্টর প্রতি গড় ফলন সর্বোচ্চ ও দেশের সবজির চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদান রাখায় জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে রাজশাহী, দ্বিতীয় সাতক্ষীরা ও যৌথভাবে তৃতীয় কক্সবাজার এবং মাদারীপুর জেলা।

স্টলের যথার্থতা, সাজসজ্জা, প্রদর্শিত দ্রব্যের মান, পরিমাণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা উপস্থাপন করে জাতীয় সবজি মেলায় অংশ নেয়া স্টলগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং তৃতীয় কৃষি বিপণন অধিদফতর (ড্যাম)।

বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে এসিআই সিড, দ্বিতীয় লাল তীর সিড লিমিটেড এবং তৃতীয় মেটাল এগ্রো লিমিটেড। মেলায় অংশ নেয়া অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

মেলায় সরকারি ১০টি ও বেসরকারি ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের ৭৪টি স্টল ও চারটি প্যাভেলিয়ন অংশ নেয়। ২৭ প্রকারের শিম ও ২৩ প্রকারের আলুসহ ১৩৬ প্রকারের শাক-সবজি প্রদর্শিত হয় এবারের মেলায়। ‘নিরাপদ সবজি করব চাষ, পুষ্টি মিলবে বার মাস’ প্রতিপাদ্যে এ মেলার আয়োজক কৃষি মন্ত্রণালয়।