• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

উন্নত দেশ গঠনে অনাগ্রহ বিএনপির

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯  

টানা তৃতীয়বার ও মোট চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের তালিকায় নেয়ার লক্ষ্যে বিভেদ ভুলে, সকল রাজনৈতিক দলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গড়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু দেশের উন্নয়নে স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিকে উপেক্ষা করে নিজেদের গতানুগতিক কট্টরপন্থী সিদ্ধান্তকেই বেশি মূল্যায়ন করছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রীর ঐক্যের ডাককে অগ্রাহ্য করে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে ডাক দিয়েছেন, সেটাকে তো মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আমরা তো ফলাফলই প্রত্যাখ্যান করেছি। সেখানে শপথ নেওয়া ও পার্লামেন্টে যাওয়া- এই বিষয়ে তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’

অথচ একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা কম হলেও সংখ্যা দিয়ে বিচার করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এখন আমাদের দেশের উন্নয়নের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের যোগসূত্র হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি। এজন্য সংখ্যা যত কমই হোক, সংসদে যেকোনো সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব/ আলোচনা/ সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।’

সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী এবারের মন্ত্রীপরিষদে তরুণদের শক্তি, মেধা ও মননের ওপর আস্থা রেখেছেন। দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। যেখানে প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও নবীনদের উদ্যমকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশ তৈরির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার।
আর এক্ষেত্রে শেখ হাসিনা মনে করছেন এই অগ্রযাত্রায় বিরোধীদলগুলোও যদি সম্পৃক্ত হয়, তাহলে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের উন্নত দেশ গড়তে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না।

গত দশ বছরে দেশের সড়ক যোগাযোগ, কূটনৈতিক সম্পর্ক, খাদ্যে উদ্বৃত্ত, বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ন্ত্রন, চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা খাতসহ প্রতিটা সেক্টরে উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েছে। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো হয়েছে ডিজিটালাইজড। বিএনপির মেয়াদে রেখে যাওয়া দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ও অনুন্নত দেশ উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।