• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বেইমানি না করার দিব্যি দিলেন অলি আহমদ!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের। নির্বাচনে বিএনপি ৫টি আসন পেয়েছে, অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যের শরিক দলগুলো সর্বমোট ২টি আসন পেয়েছে। এদিকে বিএনপি তথা ঐক্যের শরিক দলের নির্বাচিত প্রার্থীরা সংসদে অংশ নেবেন বলে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে গুঞ্জন চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচিতদের সংসদে যোগ না দেয়ার দিব্যি দিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও শরিক দল এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ।

২৬ জানুয়ারি রাজধানীতে এক আলোচনায় এলডিপি নেতা নির্বাচিতদের উদ্দেশ্যে দিব্যিসূচক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেছেন, বিএনপির তথা ঐক্যের নির্বাচিত নেতারা যদি সংসদে যায়, তাহলে তাদের বেইমান হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, তারা বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

সূত্র বলছে, বিএনপির নির্বাচিত ৫ প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই সংসদে যোগ দেয়ার পক্ষে। অন্যদিকে শরিক দল গণফোরামের ২ প্রার্থীও একইমত পোষণ করেছেন। তারা বলছেন, জয়ী হয়েও যদি তারা সংসদে যোগ না দেয় তবে জনগণের আস্থা হারাতে পারেন তারা। কেননা, নির্বাচনে জয় জনগণের প্রত্যাশার ফল। বিনিময়ে জনগণ জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাদের আশার প্রতিফলন দেখতে চায়। এমন বাস্তবতায় তারা যদি সংসদে না যায় তবে জনগণের প্রত্যাশাও পূরণ হবে না। ফলে একটি নাখোশ মনোভাব তৈরি হতে পারে।

এ বিষয়ে গণফোরাম থেকে বিজয়ী দু’জন নির্বাচিত প্রার্থী বিএনপির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তারা হলেন- মৌলভীবাজার-২ আসনে জয়ী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, গণফোরামের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান। এই দুই বিজয়ী প্রার্থী সংসদে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রকাশ্যে নিজেদের মতামত ঘোষণা দিলেও বিএনপির নির্বাচিতরা তাদের ইচ্ছা প্রকাশ্যে আনতে পারছে না।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি থেকে জাতীয় নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত সাংসদ বলেন, সংসদে না যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপ রয়েছে। অন্যদিকে আমার আসনের জনগণ চায় আমি যেন সংসদে যাই। এমন পরিস্থিতিতে আমি যদি কেন্দ্রের কথা মানতে যাই তবে জনগণের প্রত্যাশাকে অপমান করা হয়। রাজনীতিতে যখন আছি তখন জনগণকেই আমার বেশি প্রধান্য দেয়া উচিত। কিন্তু কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের আরও গভীরভাবে ভেবে দেখা দরকার।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, আমরা এ নির্বাচনের ফলাফল পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছি। কাজেই এর বাইরে আর কোন কথা থাকতে পারে না। ‘দ্যাটস এনাফ’। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির এমন একতরফা সিদ্ধান্ত দলের জন্য হুমকি হতে পারে।