• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিশুশ্রম বন্ধের পরিকল্পনা গৃহীত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯  

নিজস্ব অর্থায়নে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম বন্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেসরকার।যেখানে বলা হয়েছে শিশুদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে এনে সরকারিভাবেই আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেএকটা সময় শেষে দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরি করবে সরকার।প্রাথমিক ধাপে প্রায় ২৮৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজেনিয়োজিত এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে আনা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণ ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণকাজে নিয়োজিত শিশুদের সরিয়ে আনতে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২০২৫সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে সরকার।’

শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কোন কোন খাতে কত শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে তার সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ে দেশব্যাপী জরিপেরওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষা ২০১৩-এর তথ্য দিয়ে উল্লেখ করা হয়, দেশে সাড়ে ৩৪ লাখ শিশুকর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ শিশু রয়েছে, যাদের কাজ শিশুশ্রমের আওতায় পড়েছে।

সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত বিভিন্ন খাতের কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ১৮৬ টি মামলা করা হয়েছে, এর মধ্যে ৫১ টি মামলানিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ১৩৫ টি মামলা চলমান রয়েছে। যেখানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শিশুশ্রমসংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিং করছে এবং কোন কারখানা মালিক শ্রমে শিশুদের নিয়োগ দিয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়াহচ্ছে বলে সভায় জানানো হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর জেনারেল সৈয়দ আহম্মদ জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত শিশুশ্রম-সংক্রান্ত৪৬ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুশ্রম বন্ধে মালিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী শিশুদের শ্রমে নিযুক্ত করাকে এক ধরণের ‘নীচু মানসিকতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, অনেকেইবাইরে বড় বড় মানবাধিকারের কথা বলেন। অথচ তারাই তাদের বাসায় শিশুদের গৃহশ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেন।  

তিনি বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কাজেকমিটিগুলোকে আরো সক্রিয় এবং শক্তিশালী করা হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর যাতে অর্ধ-শিক্ষিত না থাকে তার ব্যবস্থা করতেহলে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।